গিট নিয়ে ভয়-ভীতি আমরা এবারে কাটিয়ে উঠেছি। এখন সময় এসেছে এর নতুন নতুন ফিচার জানার। তাই এই ধারাবাহিক আলোচনাকে “একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান” আর বলছি না, বরং গিট নিয়ে খেলাধুলা বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা এখনও গিট নিয়ে ভয়-ভীতি কিংবা দোটানার মধ্যে আছেন, এবারে তাদেরকে অনুরোধ করবো আমাদের পূর্বতন দুটো টিউটোরিয়াল দেখে নেয়ার জন্য, আগে (কথা দিচ্ছি এর চেয়ে সহজ করে কেউ বলবে না কখনও):
এবারে আমরা জানি গিট কাকে বলে, কত প্রকার, কী কী 🙂 । তাই আজকে আমরা আলোচনা করছি গিট ব্রাঞ্চিং নিয়ে।
অন্যান্য ভার্ষন নিয়ন্ত্রণ সফ্টওয়্যারের সাথে গিট-এর পার্থক্য করতে গেলে অনেককেই বলতে শুনি যে, গিটে ব্রাঞ্চিং যথেষ্ট cheap। এই cheap কথাটার মানে যেমন স্বল্প খরচসাপেক্ষ, তেমনি এর দ্বারা বোঝায় এটা যথেষ্ট সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলাহীনও। স্বস্তা, কারণ খুব অল্প রিসোর্স ব্যবহার করেই গিট ব্রাঞ্চিং করা যায় অগণিত।
কী এই গিট ব্রাঞ্চিং? ব্রাঞ্চ শব্দটা শুনলেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চের কথা মনে হয় না? ঠিকই আছে। ব্রাঞ্চিং সেরকমইতো। এবারে একটা ঘটনা দেখা যাক:
আমি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছি। আমার সাথে ২জন বন্ধু আছেন।
আমি মূল রাস্তা ধরে আরো এক মাইল এগোলাম, এবারে আমার সাথে আরো ২জন বন্ধু যোগ দিলেন। অর্থাৎ মোট বন্ধুর সংখ্যা ৪জন।
এবারে আমি রাস্তা বদল করলাম। ডানের গলিতে ঢুকে গেলাম। এই গলিতে আমি আরো ২জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম। মোট বন্ধু: [আগের] ৪জন + [নতুন] ২জন = ৬জন।
আরো এক মাইল এগোলাম, আরো ৪জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম, মোট বন্ধু হলেন ৬+৪=১০জন।
এমন সময় হঠাৎ, পথে আপনার সাথে দেখা। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এই রাস্তায় কেন? আপনার মূল রাস্তা কোথায়? আমি বললাম, সেটাতো ফেলে এসেছি। আপনি বললেন, বাহ, দারুণ! ১০জন বন্ধু নিয়ে পথ চলছেন! মূল রাস্তাতে আপনার কয় জন বন্ধু ছিলেন? বললাম, ৪জন। কেন, ১০জন নয় কেন? কারণ, বাকি ৬জন যে আমি ডানের গলিতে পেয়েছি।
হ্যা, ব্রাঞ্চিং-এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই ঘটে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত যা ঘটেছে, গলিপথে বা শাখা পথে ঢোকার সময় শাখা পথ কিন্তু ততটুকুর খবরই জানে। আর গলিপথে ঢুকে আপনি কতটুকু এগিয়েছেন, কী করেছেন, মূল পথ কিন্তু তার খবর জানে না।
স্বস্তাশ্রেণীর একটা উদাহরণ হয়ে গেল, তবু এটা বুঝলে ব্রাঞ্চিং-এর কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। …কথা না বাড়িয়ে এবারে হাত নোংরা করা যাক…
Continue reading