গিটহাবে স্ট্যাটিক ডেমো সাইট বানানোর কৌশল - tuts nano

আপনি HTML, CSS, JavaScript দিয়ে একটা অপূর্ব কাজ করে ফেলেছেন। সেটা ছড়িয়ে দেবার জন্য Github-এ একটা রেপোযিটরিও করে ফেলেছেন এবং সেখানে আপলোডও করে দিয়েছেন। লোকজন এখন চাইলেই আপনার রোপোযিটরিটা ফর্ক করতে পারছেন, ক্লোন করতে পারছেন, ডাউনলোডও করতে পারছেন। কিন্তু একটা ব্যাপারে ঠিক মন ভরছে না – যদি কাজটার একটা ডেমো দেখানো যেত অনলাইনেই? তাহলে তো সোনায় সোহাগা হতো।

আমরা এখানে জানবো: কিভাবে গিটহাবে একটা স্ট্যাটিক ডেমো সাইট তৈরি করা যায়।

একটু বলে রাখি, বারবার স্ট্যাটিক সাইট কথাটা কেন বলছি? স্ট্যাটিক সাইটে সার্ভার সাইড কোনো কোড থাকছে না, পিওর এইচটিএমএল, সিএসএস আর জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে আপনি সাইটটা তৈরি করছেন, আর দেখাচ্ছেন। কারণ ডাটাবেজ স্টোর করার মতো কোনো জায়গা আমরা পাচ্ছি না।

যা যা জানা থাকা লাগবে

অন্তত একটা HTML ফাইল বানানো জানা লাগবে। এছাড়া, যখন যা জানার দরকার পড়বে, একটু ঢু মেরে সেটা জেনে নিলেই চলবে।

কিভাবে কী করতে হয়?

প্রথম ধাপ: গিটহাবে কোড ডিপ্লয়

কাজটা খুবই সহজ।

Continue reading

গিট ব্রাঞ্চিং - tuts nano

গিট নিয়ে ভয়-ভীতি আমরা এবারে কাটিয়ে উঠেছি। এখন সময় এসেছে এর নতুন নতুন ফিচার জানার। তাই এই ধারাবাহিক আলোচনাকে “একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান” আর বলছি না, বরং গিট নিয়ে খেলাধুলা বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা এখনও গিট নিয়ে ভয়-ভীতি কিংবা দোটানার মধ্যে আছেন, এবারে তাদেরকে অনুরোধ করবো আমাদের পূর্বতন দুটো টিউটোরিয়াল দেখে নেয়ার জন্য, আগে (কথা দিচ্ছি এর চেয়ে সহজ করে কেউ বলবে না কখনও):

এবারে আমরা জানি গিট কাকে বলে, কত প্রকার, কী কী 🙂 । তাই আজকে আমরা আলোচনা করছি গিট ব্রাঞ্চিং নিয়ে।

অন্যান্য ভার্ষন নিয়ন্ত্রণ সফ্‌টওয়্যারের সাথে গিট-এর পার্থক্য করতে গেলে অনেককেই বলতে শুনি যে, গিটে ব্রাঞ্চিং যথেষ্ট cheap। এই cheap কথাটার মানে যেমন স্বল্প খরচসাপেক্ষ, তেমনি এর দ্বারা বোঝায় এটা যথেষ্ট সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলাহীনও। স্বস্তা, কারণ খুব অল্প রিসোর্স ব্যবহার করেই গিট ব্রাঞ্চিং করা যায় অগণিত।

কী এই গিট ব্রাঞ্চিং? ব্রাঞ্চ শব্দটা শুনলেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চের কথা মনে হয় না? ঠিকই আছে। ব্রাঞ্চিং সেরকমইতো। এবারে একটা ঘটনা দেখা যাক:

গিট-এ ব্রাঞ্চিং-এর সহজ চিত্র
গিট-এ ব্রাঞ্চিং-এর সহজ চিত্র

আমি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছি। আমার সাথে ২জন বন্ধু আছেন।

আমি মূল রাস্তা ধরে আরো এক মাইল এগোলাম, এবারে আমার সাথে আরো ২জন বন্ধু যোগ দিলেন। অর্থাৎ মোট বন্ধুর সংখ্যা ৪জন

এবারে আমি রাস্তা বদল করলাম। ডানের গলিতে ঢুকে গেলাম। এই গলিতে আমি আরো ২জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম। মোট বন্ধু: [আগের] ৪জন + [নতুন] ২জন = ৬জন

আরো এক মাইল এগোলাম, আরো ৪জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম, মোট বন্ধু হলেন ৬+৪=১০জন

এমন সময় হঠাৎ, পথে আপনার সাথে দেখা। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এই রাস্তায় কেন? আপনার মূল রাস্তা কোথায়? আমি বললাম, সেটাতো ফেলে এসেছি। আপনি বললেন, বাহ, দারুণ! ১০জন বন্ধু নিয়ে পথ চলছেন! মূল রাস্তাতে আপনার কয় জন বন্ধু ছিলেন? বললাম, ৪জন। কেন, ১০জন নয় কেন? কারণ, বাকি ৬জন যে আমি ডানের গলিতে পেয়েছি।

হ্যা, ব্রাঞ্চিং-এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই ঘটে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত যা ঘটেছে, গলিপথে বা শাখা পথে ঢোকার সময় শাখা পথ কিন্তু ততটুকুর খবরই জানে। আর গলিপথে ঢুকে আপনি কতটুকু এগিয়েছেন, কী করেছেন, মূল পথ কিন্তু তার খবর জানে না।

স্বস্তাশ্রেণীর একটা উদাহরণ হয়ে গেল, তবু এটা বুঝলে ব্রাঞ্চিং-এর কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। …কথা না বাড়িয়ে এবারে হাত নোংরা করা যাক…

Continue reading

গিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান - ন্যানোডিযাইন্‌স

« আগের পর্ব

গত পর্বে আমরা গিট সম্পর্কে অন্তর্নিহীত একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম, এবং এখন আমরা গিট কী তা শুধু জানিই না, বুঝিও; কিভাবে গিট কাজ করে তাও জানি, খানিকটা বুঝিও – আজকে তা পুরোপুরি বুঝে নিবো ইনশাল্লাহ। আমরা কম্পিউটারে গিট ইন্সটল করে ফেলেছি আর সেটাকে সম্পূর্ণ নিজের করে নিয়েছি। এবারে কাজ শুরু করে দেয়া যাক:

আমরা গত পর্বে বলেছিলাম মাত্র ৬টা কমান্ড দিয়ে শিখে নিব, গিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। …এখুনি হাত নোংরা করার দরকার নেই, একটু ভালো করে বুঝে নিতে হবে আগে। গিট রেপোযিটরি (কিংবা রেপোজিটোরি) কী? গিট কমিট কী (কমিটি নয় কিন্তু, কিংবা কম্মিট বলারও দরকার নেই)? স্টেজ করা কী? …বুঝে বুঝে এগোলে কনসেপ্ট পরিষ্কার হবে, নতুন কিছু গ্রহণ করাও সহজ হবে।

গিট - ফোল্ডার স্ট্রাকচার
গিট – ফোল্ডার স্ট্রাকচার

ধাপে ধাপে গিট

গিট রেপোযিটরি: ধরা যাক, আমার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, যেখানে দুটো ফাইল থাকবে: (১) index.html আর (২) style.css। ওযেবসাইটের নাম “mywebsite”। এখন কী করবো? … খুব সহজ, mywebsite নামের একটা ফোল্ডার তৈরি করে তার ভিতরে ফাইল দুটো রাখবো। তাহলে আমরা যদি বলি ঐ mywebsite ফোল্ডারটা হলো আমাদের প্রজেক্ট ফোল্ডার, ইউনিক্সের ভাষায় যাকে বলে ডিরেক্টরি, আর গিটের ভাষায় যাকে বলে রেপোযিটরি (repository)। ব্যস রেপোযিটরি বুঝে ফেললাম আমরা – রেপোযিটরি হলো আমাদের প্রজেক্টের সকল ফাইল একত্র করে রাখার একটা স্থান। তাহলে দেখা যাচ্ছে, একটা ফোল্ডার আর রেপোযিটরির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। …আসলে তা কিন্তু সত্যি নয় – পার্থক্য আছে।

Continue reading

গিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান - ন্যানোডিযাইন্‌স
গিট-এর লগো

গিট (Git) হলো হাল আমলের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং জনপ্রিয় ভার্সন নিয়ন্ত্রণ সফ্‌টওয়্যার। …ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী – আমরা সেটা দেখবো। আমরা যেহেতু একেবারে প্রাথমিক আলোচনা করছি, তাই অনেক বিষয়ই জানা থাকলেও একটু না একটু আলোচনা করতেই হবে, ধারণা পরিষ্কার হবে, আমরা বিষয়টা বুঝবোও সহজে। মনে রাখতে হবে, এপৃথিবীর সবকিছুর মূলে রয়েছে কিছু কনসেপ্ট বা ধারণা। ধারণাটা বুঝে ফেললে বাকি সব পানিভাত। Git নামটা বুঝার আগে আমি GitHub নামটা শুনেছিলাম, এবং এই দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে পারতাম না প্রথম প্রথম। আপনাদের মনেও যদি এই প্রশ্নটা থাকে, তাও আমরা পরিষ্কার করবো ইনশাল্লাহ। তবে শর্ত হলো দুটো –

  1. যদি জানতে হয়, শিখতে হয়, পুরো লেখাটা দুই পর্বেরই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
  2. আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, খুব সহজে, সংক্ষেপে গিট বুঝাতে চলেছি, এবং আমার মতো মোটা মাথায় যদি ঢুকতে পারে, আপনাদের জন্য তো চিন্তারই কারণ নেই।

সংক্ষেপে বলো – সহজে বলো

গিট সম্পর্কে জানতে হলে কি আপনার এইসব ফিরিস্তি পড়তে হবে বসে বসে? …মোট্টেই না।

অনেকেই গিট শেখার ভিডিও আপলোড করেছেন, অনেক ওয়েবসাইট আছে বিনামূল্যে গিট শিখাবে হাতে ধরে ধরে, অনেক বই আছে গিট-এর উপর। যদি লম্বা কথা পড়ে পড়ে শেখার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে সেগুলো তো দেখা যায়ই-

ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী

গিট বুঝতে গেলে একটু বুঝে নেয়া দরকার, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ বিষয়টা কী। সহজে বলতে গেলে নিচের টেক্সট ফাইলটি (Readme.txt) দেখা যাক:

Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:03:40 This is a readme file
Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:04:27 A readme file that is changed from its original state
Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:04:55 A readme file that is changed from its original state. And something appended after the first paragraph.

এই টেক্সট ফাইলটিকে আমরা একটা ছোট্ট উদাহরণ হিসেবে নিয়েছি। এখানে আপনারা ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন তিনটা আলাদা আলাদা সময়ের উল্লেখ আছে, যদিও তারিখটা একই আছে। তিনটা আলাদা সময়ে ফাইলটাতে তিনটা আলাদা পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম সময়ে (15:03:40) যে লেখাটা ছিল, পরের সময়েই (15:04:27) সেই লেখাটা প্রায় পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে (মানে বাদ দিয়ে, যোগ করা হয়েছে)। আবার তার পরের সময়ে (15:04:55) দ্বিতীয় লেখাটা না ছুঁয়ে তার সাথে নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এই তিনটা পরিবর্তনই কিন্তু একই ফাইলে হয়েছে, শুধু পার্থক্য হলো, এগুলো বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। এখন আমরা এই তিনটা সময়কে যদি এই ফাইলটার তিনটা আলাদা আলাদা অবস্থা ধরে নিই, তাহলে তা-ই কিন্তু ভার্সন (version)।

আমাদের ফাইলটি এখন খুললে আমরা কোন অবস্থায় পাবো, মানে কোন ভার্সনে পাবো? অবশ্যই সর্বশেষ ভার্সনে, মানে 15:04:55 সময়ে আপডেট করা ভার্সনটি। কিন্তু ধরা যাক, কোনো কারণে আমাদের প্রথম বাক্যটার (A readme file that is…) জায়গায় দরকার একেবারে প্রথমে যে বাক্যটা লিখেছিলাম, সেই বাক্যটা (মানে: This is a readme file বাক্যটা)। এখন তাহলে কোথায় পাবো সেটা? …কোত্থাও পাওয়া যাবে না, কারণ ফাইলটার পুরোন সেই লেখাটা এখন আর ফাইলে নেই – ঐ লেখাটা মুছেইতো সর্বশেষ অবস্থা পেলাম। …এজন্যই দরকার পড়ে ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণের, যেখানে আমাদের পুরোন কাজগুলো কখন কেমন ছিল, তার একটা রূপ আমরা পরেও দরকার পড়লে পাই। আবার এমনও হতে পারে, ফাইলের সব লেখা মুছে কেউ সব উল্টাপাল্টা করে ফেললো, তখন ফাইলের বিভিন্ন ভার্সন থাকলে আমরা পুরোন ভার্সনটাতে ফাইলটাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো সহজে। এই কালানুগ কিংবা অবস্থানুগ পরিবর্তনের চিত্রটাই হলো ভার্সন, আর উপরে বর্ণিত কারণগুলোর জন্যই মূলত আমাদের ভার্সন নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়ে।

আমরা যারা কোড লিখি, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ করাটা তাদের খুব কাজে লাগে। হয়তো তিন মাস আগের করা কোনো কাজ, যা পরে ফেলে দিয়েছিলাম, তা-ই আজকে অন্য এক জায়গায় কাজে লাগছে – তখন পুরোন ভার্সন থেকে আমরা সেটা পেয়ে যেতে পারি। আর, এখন এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমাদেরকে কখনও কখনও নিজের গন্ডির বাইরেও অন্য কোনো কোডারের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। তখন নিজেদের কাজগুলো এক জায়গায় রেখে দুজনের কাজকে বুঝে-শুনে একত্র করে করে এগিয়ে যাওয়ার একটা দারুণ উপায় হলো ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – বিশেষ করে ডিস্ট্রিবিউটেড ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – যা গিট-এর মাধ্যমে আরো বেগবান হয়েছে। আবার একই অফিসে একাধিক ডেভলপার একই প্রজেক্টে মিলেমিশে কাজ করলেও গিটের তুলনা নেই, তখন একই কাজের পূণরাবৃত্তি রোধ করে যার যার অবস্থান থেকে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই।

ভার্সন নিয়ন্ত্রণের পুরোন পদ্ধতি ফেলে এখন যখন গিট

Continue reading