CSS-tooltip-how-it-works

জ্ঞানস্তর: মাধ্যমিক

কোনো একটা লম্বা নামকে সংক্ষিপ্ত করে লেখার দরকার হলো, এজন্য প্রত্যেকটা শব্দের প্রথম অক্ষরগুলো, মানে আদ্যক্ষর নিয়ে, আপনি সেই নামটা তৈরি করলেন, ইংরেজিতে যাকে বলে acronym। যেমন: Bangladesh Agricultural and Rural Development-কে সংক্ষেপে ডাকা হয় BARD বলে; এখানে BARD হলো পুরো নামটার সংক্ষিপ্ত রূপ। ধরা যাক, একটা লেখা লিখছেন, যেখানে বারবার আপনি BARD-ই বলে যাচ্ছেন। কিন্তু একজন পাঠক BARD-এর মানে তো নাও জানতে পারেন। তাই এসব ক্ষেত্রে HTML-এর সহজ একটা কৌশল কাজে লাগানো হয়: <abbr> ট্যাগটি। এর আগে ব্যবহার করা হতো <acronym> ট্যাগটি, যা এখন deprecated বা বাতিল করা হয়েছে।

টুলটিপ দেখানোর জন্য HTML

এই কোডটা ব্যবহার করলে যখনই আপনি GDP কিংবা BARD লেখাটার উপরে মাউস আনবেন, একটু অপেক্ষা করলেই সেখানে একটা বাক্সে দেখাবে BARD-এর মানে, যা আপনি <abbr>-এর title-এ দিয়েছেন। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত এই স্টাইলটি অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। সেজন্য নিচের এই CSSটুকু বসিয়ে নিয়ে আপনি আরো দৃষ্টিনন্দন করে নিতে পারেন HTML-এর নিজস্ব টুলটিপকেই। টুলটিপের জন্য অন্য কিছু আবিষ্কার না করে <abbr> ট্যাগ ব্যবহার করাটা Web Accessibility-ও নিশ্চিত করে।

টুলটিপ দেখানোর জন্য CSS

কেমন লাগলো, আর কাজে লাগলো কিনা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আর, আরো আরো সিএসএস প্রোপার্টি যোগ করে নতুন নতুন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান, একটু opacity প্রয়োগ করে দেখুন… নতুন কিছু বের করতে পারলেও আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

– মঈনুল ইসলাম
🔗 mayeenulislam.github.io


মূলসূত্র: পোস্টটা লিখতে এর মূল তথ্য গ্রহণ করা হয়েছে একটি তৃতীয় পক্ষীয় টিউটোরিয়াল থেকে, যে লিংকটি বর্তমানে লভ্য নয়। তবে সেখানকার কোডগুলো ঝামেলা করে বলে তা সংশোধন ও পরিমার্জন করতে সহায়তা নেয়া হয়েছে সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অমিত চৌধুরীর। কৃতজ্ঞতা তাই এঁদের প্রতি। মূল লেখাটি অনেক বছর আগে লেখা ছিলো, সেখানকার deprecated কোড সরিয়ে সাম্প্রতিক কোড যোগ করা হয়েছে।

CSS3 দিয়ে কলাম তৈরি - nanodesigns

পত্রিকার ডিযাইনে কলাম দেখা যায়, ছবিগুলো অ্যালবামে কলাম আকারে সাজানো থাকে, আপনার পোর্টফোলিও কলাম আকারে গুছিয়ে দেখাতে পারেন – কলাম ডিযাইন তৈরি ঘুরেফিরেই আপনার প্রয়োজন হবে। এজন্যই এর আগে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে পিএইচপি লুপ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে কলামের ডিযাইন করা যায়। আমরা সেদিন বলেছিলাম, CSS3 দিয়েও কাজটা আরো সহজে করা যায়। এতোদিন পরে হলেও আমরা কথা রাখতে পেরেছি, আজ আমরা সেটাই দেখবো ইনশাল্লাহ।

সিএসএস৩ দিয়ে তৈরি কলাম আরো পরিচ্ছন্ন, আরো সহজ। এখানে স্তবকে স্তবকে সাজানো <div>-গুলোকে কোনো ক্লাস কিংবা সিলেক্টরের তোয়াক্কা না করে শ্রেফ সিএসএস দিয়ে ধরে ধরে কলাম আকারে সাজিয়ে ফেলা যাবে। এবং রেসপন্সিভ ডিযাইনেও একই কৌশল কাজে লাগিয়ে লেআউটকে বিভিন্ন ভিউপোর্টে ইচ্ছামতো বদলে নেয়া যাবে।

আসুন দেখা যাক, কিভাবে সেটা করা হয়। আমরা সহজ করার জন্য সবটুকু কাজ একটা ফাইলের মধ্যেই করে দেখাচ্ছি:

Continue reading

আমার বাংলা নিয়ে প্রথম কাজ করবার সুযোগ তৈরি হয়েছিল অভ্র^ নামক এক যুগান্তকারী বাংলা সফ্‌টওয়্যার হাতে পাবার মধ্য দিয়ে। এর পর একে একে বাংলা উইকিপিডিয়া, ওয়ার্ডপ্রেস বাংলা কোডেক্সসহ বিভিন্ন বাংলা অনলাইন পত্রিকা তৈরির কাজ করতে করতে বাংলার সাথে নিজেকে বেঁধে নিয়েছি আষ্টেপৃষ্ঠে। বিশেষ করে অনলাইন পত্রিকা তৈরি করতে ডিযাইন করার সময়, সেই ডিযাইনকে কোডে রূপান্তর করবার সময় বারবার অনুভব করেছি কিছু নমুনা লেখার। যে লেখাগুলো ফটোশপে বসিয়ে বাংলায় ডিযাইন করা যাবে, আবার সেই লেখাই অনলাইনে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইংরেজিতে লাতিন Lorem Ipsum… সূচক নমুনা লেখা (dummy texts) থাকলেও বাংলা ভাষায় এরকম কোনো লেখা নেই। তাই নিজের তাগিদেই বাংলা ভাষার জন্য প্রথম নমুনা লেখা তৈরি করলাম, এ হলো বাংলা Lorem ipsum – কিন্তু তার অনুবাদ নয়। আমি একে নামকরণ করেছি:

অর্থহীন লেখা!

আমি কোনো ভাষাবিজ্ঞানী নই। তাই ভাষাগত, শব্দব্যঞ্জনগত শুদ্ধতা, তাল-লয় -এসব বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই প্রাথমিক। তাই এই লেখায় এসব ভাষাবিজ্ঞানগত তাত্ত্বিক উপাদান খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন হবে। আমি চেষ্টা করেছি বাংলা ভাষায় দীর্ঘ শব্দ রাখতে, তবে তা দীর্ঘতম – এমন দাবি আমি করছি না। আমি চেষ্টা করেছি, অংক (সংখ্যা) রাখতে, যাতে ফন্টের অবয়বটা টের পাওয়া যায়। আমি চেষ্টা করেছি যুক্তাক্ষর রাখতে, যতিচিহ্ন রাখতে,… অর্ধমাত্রার অক্ষর, পূর্ণমাত্রার অক্ষর, মাত্রাহীন অক্ষর, কার-ফলাযুক্ত শব্দ, বাক্যের এখানে-ওখানে রাখতে।

বাংলা সব অক্ষর রাখার একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ – আমি শেষে এই চেষ্টা করাটাকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করলাম। এ-তো আর বাংলা ভাষার আগার হচ্ছে না, এ হলো পরম্পরাহীন, কিংবা তাৎপর্যপূর্ণ একটি লেখা, যা বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্ব করবে টাইপসেটিং, প্রিন্টিং, ইন্ডাস্ট্রিতে কিংবা ওয়েব ডিযাইনে।

অর্থহীন লেখা

অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?

যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।

কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।

তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!

যেহেতু এখনও ফটোশপের অনেক সংস্করণে ইউনিকোড লেখা সমর্থন করে না, তাই লেখাটি একই সাথে Unicode এবং ASCII সংস্করণে দেয়া হলো। ইউনিকোড সংস্করণটি ওয়েবসহ অন্যান্য সকল ইউনিকোড সমর্থন করে – এমন মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। আর যেসকল ক্ষেত্রে বিজয় দিয়ে বাংলা লেখার পদ্ধতি প্রচলিত, সেখানে ASCII সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে। আসকি সংস্করণে (ডাউনলোড করে নিন: 21kb) রয়েছে:

  • Bengali-Lorem-Ipsum-by-nanodesigns-ASCII.docx
  • Bengali-Lorem-Ipsum-by-nanodesigns-ASCII.doc
  • Bengali-Lorem-Ipsum-by-nanodesigns-ASCII.txt

– মঈনুল ইসলাম
🔗 mayeenulislam.github.io

Column Design using PHP-CSS by nanodesigns

জ্ঞানস্তর: মাধ্যমিক

লক্ষ্যণীয়: এই আলোচনায় ধরে নেয়া হয়েছে যে, পাঠকের পিএইচপি কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট এবং লুপ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রয়েছে।

আমি ফেসবুকে আমার অনেকগুলো ছবি একটা অ্যালবামে আপলোড করলাম, তারপর যখন অ্যালবামটা খুললাম, তখন দেখি ছবিগুলো কেমন থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যেন পাশাপাশি পাঁচটা বাক্সে পাঁচটা ছবি, তারপর নিচে আবার পাঁচটা বাক্সে পাঁচটা ছবি… বেশ সুন্দর! কিংবা ধরা যাক, আমি একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আমার লেখাগুলো একটার পর একটা আসছে। এখন আমি চাচ্ছি যাতে লেখাগুলো দুই কলামে আসে – একটা লেখা বামের কলামে, তো দ্বিতীয় লেখাটা হবে ডানের কলামে, আবার তৃতীয় লেখাটা পরের লাইনে গিয়ে বসবে বামের কলামে… দারুণ হবে বিষয়টা। যারা পিএইচপি জানেন, তারা জানেন যে, এই ছবিগুলোকে একত্র করে দেখানো কিংবা লেখাগুলোকে একটার পর একটা নিয়ে এসে দেখানোর কাজটা করা হয় পিএইচপি লুপ ব্যবহার করে।

আমরা এরকম একটি অতি সাধারণ for loop নিলাম, যেখানে কিছু CSS ব্যবহার করে আমরা একটা প্রাথমিক চেহারা দাঁড় করাবো বিষয়টা বোঝার জন্য।

PHP ব্যবহার করে লুপ চালিয়ে লেখা দেখানো

আমরা এজন্য কিছু CSS লিখলাম, যাতে বিষয়টা একটু বোধগম্য হয়, এই সিএসএস-এর সাথে কলামের এখনও কোনো সম্পর্ক নেই; আমরা আসলে, কলামটা যে ঠিকমতো কাজ করছে, সেটা যাতে বুঝতে পারি, তারই জন্য একটা প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।

Continue reading