অ্যাডমিন প্যানেলে একটা পাতায় (menu_page কিংবা submenu_page হতে পারে) একটা WP_Query() চালিয়ে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। টেবিল আকারে তথ্যগুলো দেখিয়েছিও। এবং পেজিনেশনও করেছি। কিন্তু লক্ষ করলাম, পেজিনেশন কাজ করছে না। অনুসন্ধান করে দেখলাম Christine Cooper-ও একই সমস্যায় পড়েছিলেন এবং তিনি একটা সমাধানও বের করেছেন Milo’র পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে। সমাধানটা দারুণ, এবং আমার সমস্যারও সমাধান দিলো। কিন্তু আরো কিছু বিষয়ের দরকার হয়ে পড়েছিল, তাই আমি সেটাতে আরো কাজ করে আপনাদের জন্য হাজির করলাম একটু গোছানো একটা সমাধান হিসেবে। আপনারা এটাকে আরো গুছিয়ে নিতে পারেন নিজের মতো করে।
আসলে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে?
এই ব্যাপারটা আগে জানা দরকার। কপি-পেস্ট সবাই করতে পারে, কোড বুঝে নিয়ে তা ব্যবহার করাটাই প্রকৃত প্রোগ্রামারের কাজ হওয়া উচিত। যা জানা গেল, তা হলো,
Github.com আমাদেরকে সামাজিকভাবে কোডিং করার একটা ধারণা দেয়। এই সাইট ব্যবহার করে আমরা বন্ধু, সহকর্মী, গুরু এমনকি অজানা কারো সাথেও সামাজিকভাবে কোড করতে পারি। অধিকাংশ গিটহাব প্রোজেক্টই উন্মুক্ত সোর্সের, কারণ প্রোজেক্টগুলো প্রাথমিকভাবেই জনসমক্ষে উন্মুক্ত। তবে আপনি প্রাইভেট রেপোযিটোরিও তৈরি করতে পারেন, কিন্তু সেগুলো বিনামূল্য নয়। উন্মুক্ত কিংবা প্রাইভেট – যাই হোক, গিটহাবে তোলা অধিকাংশ গুছিয়ে নেয়া পণ্যও এর ডেভলপার কিংবা মালিক রিলিয করেন না। তাই আজকে আমরা দেখার চেষ্টা করবো, কিভাবে গিটহাব প্রোজেক্টকে রিলিয করতে হয়।
ধরা যাক, আপনার গিটহাব রেপোযিটোরিটাই আপনার প্রোজেক্ট। এবং আপনি এখন এর 1.0.0 সংস্করণের কাজ করছেন। আরো কয়েকজনও কমিট করছেন এই রেপোযিটোরিতে। এবারে আপনারা সবাই ঠিক করলেন এই প্রোজেক্টটির 1.0.0 সংস্করণটি রিলিয করবেন। তো এপর্যায়ে আপনারা আপনাদের কমিট করা শেষ করলেন এবং রিলিযের জন্য প্রস্তুতি নিলেন।
রিলিয দেয়ার গিট পদ্ধতি
git ব্যবহার করে প্রোডাক্ট রিলিয দেয়ার পদ্ধতি হচ্ছে git tag। কমান্ডলাইনে (git bash ব্যবহার করে) কাজটা করার উপায় হচ্ছে:
git tag -a v1.0.0 -m "First Release"
এতে যেটা হবে সর্বশেষ কমিটে v1.0.0 ট্যাগটি জুড়ে যাবে। এবারে কমান্ডলাইনে ট্যাগ পুশ করে দিলেই গিটহাবে একটা ট্যাগ তৈরি হয়ে যাবে।
git push -u origin --tags
কিন্তু এতে রিলিয নোট লেখা হবে না। তাই ট্যাগ তৈরি এবং রিলিয দেয়ার জন্য গিটহাব-এ রয়েছে রিলিয ফিচার:
পত্রিকার ডিযাইনে কলাম দেখা যায়, ছবিগুলো অ্যালবামে কলাম আকারে সাজানো থাকে, আপনার পোর্টফোলিও কলাম আকারে গুছিয়ে দেখাতে পারেন – কলাম ডিযাইন তৈরি ঘুরেফিরেই আপনার প্রয়োজন হবে। এজন্যই এর আগে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে পিএইচপি লুপ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে কলামের ডিযাইন করা যায়। আমরা সেদিন বলেছিলাম, CSS3 দিয়েও কাজটা আরো সহজে করা যায়। এতোদিন পরে হলেও আমরা কথা রাখতে পেরেছি, আজ আমরা সেটাই দেখবো ইনশাল্লাহ।
সিএসএস৩ দিয়ে তৈরি কলাম আরো পরিচ্ছন্ন, আরো সহজ। এখানে স্তবকে স্তবকে সাজানো <div>-গুলোকে কোনো ক্লাস কিংবা সিলেক্টরের তোয়াক্কা না করে শ্রেফ সিএসএস দিয়ে ধরে ধরে কলাম আকারে সাজিয়ে ফেলা যাবে। এবং রেসপন্সিভ ডিযাইনেও একই কৌশল কাজে লাগিয়ে লেআউটকে বিভিন্ন ভিউপোর্টে ইচ্ছামতো বদলে নেয়া যাবে।
আসুন দেখা যাক, কিভাবে সেটা করা হয়। আমরা সহজ করার জন্য সবটুকু কাজ একটা ফাইলের মধ্যেই করে দেখাচ্ছি:
কমান্ডলাইনে কাজ করার মজা একজন প্রোগ্রামার খুব উপভোগ করেন। কমান্ডলাইন কী? উইন্ডোজে যেমন ডস মোডে প্রোগ্রাম লিখে কাজ করা – বিষয়টা তা-ই। ওমুক ফোল্ডারে ঢুকতে হলে লিখতে হয় cd omuk – মহা মসিবতের কথা! অথচ GUI পদ্ধতিতে আমরা মাত্র একটা ক্লিকে কত অনায়াসে ফোল্ডারের পর ফোল্ডারে যাতায়াত করতে থাকি। কিন্তু GUI পদ্ধতিতে কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হয়, অথচ কমান্ডলাইনে (মানে কমান্ড লিখে) খুব অনায়াসে, হয়তো মাত্র এক লাইনের একটা কোড লিখে কাজগুলো একসাথে করে ফেলা যায় – বলা ভালো তুড়ি মেরে করে ফেলা যায়। খুব সহজ একটা উদাহরণ হতে পারে, অমুক ফোল্ডারে ঢুকে সেখানকার সকল ফাইল তমুক ফোল্ডারে নিয়ে যাও। আপনি যেখানে কাজটি করতে পারবেন কমান্ডলাইনে মাত্র এক লাইনের কমান্ড লিখে, সেখানে GUI পদ্ধতিতে আপনাকে অনেকগুলো ফোল্ডারে ঘুরাঘুরি করে কাজটি করতে হবে। কমান্ডলাইন ব্যবহার করার মজাটা ব্যবহার না করেই বুঝতে চাইলে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের সাথে তুলনা করে বুঝা যেতে পারে। খুব সহজে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে কপি-পেস্ট করার কমান্ডটি (ctrl+c » ctrl+v) আমরা হরহামেশা ব্যবহার করি। যারা অভ্যস্ত তারা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে, এটা মাউস ব্যবহার করার চেয়ে দ্রুত। 🙂
আমরা আশা করি কমান্ডলাইনের মজা আর কার্যকারিতার শক্তিমত্তা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গেছি। ব্যস, আমাদের আজকের আলোচনা কমান্ডলাইন নিয়ে হলেও তা অপারেটিং সিস্টেমের শেল কমান্ডলাইন না, বরং আমাদের বহুল পরিচিত, বহুল ব্যবহৃত ওপেন সোর্স ব্রাউজার Mozilla Firefox-এর কমান্ডলাইন, যার কেতাবি নাম হচ্ছে GCLI (Graphical Command Line Interpreter) – সোজা বাংলায়: কমান্ড লাইনের লেখাকে দৃষ্টিগ্রাহ্য করে কাজে রূপান্তর করার প্রোগ্রাম। এটি ফায়ারফক্সের বিল্ট-ইন ওয়েব ডেভলপার টুল-এর একটি এক্সটেনশন।
এই কমান্ডলাইনটি অতি সম্প্রতি আমার এক সহকর্মী আমাকে দেখালেন, আমি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-এর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এটি ইউনিক্স কনসোলের মতোই অপূর্ব একটি ফিচার। এতোদিন কেন দেখলাম না, নিজেকেই শুধাই!
গত পর্বে আমরা গিট সম্পর্কে অন্তর্নিহীত একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম, এবং এখন আমরা গিট কী তা শুধু জানিই না, বুঝিও; কিভাবে গিট কাজ করে তাও জানি, খানিকটা বুঝিও – আজকে তা পুরোপুরি বুঝে নিবো ইনশাল্লাহ। আমরা কম্পিউটারে গিট ইন্সটল করে ফেলেছি আর সেটাকে সম্পূর্ণ নিজের করে নিয়েছি। এবারে কাজ শুরু করে দেয়া যাক:
আমরা গত পর্বে বলেছিলাম মাত্র ৬টা কমান্ড দিয়ে শিখে নিব, গিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। …এখুনি হাত নোংরা করার দরকার নেই, একটু ভালো করে বুঝে নিতে হবে আগে। গিট রেপোযিটরি (কিংবা রেপোজিটোরি) কী? গিট কমিট কী (কমিটি নয় কিন্তু, কিংবা কম্মিট বলারও দরকার নেই)? স্টেজ করা কী? …বুঝে বুঝে এগোলে কনসেপ্ট পরিষ্কার হবে, নতুন কিছু গ্রহণ করাও সহজ হবে।
ধাপে ধাপে গিট
গিট রেপোযিটরি: ধরা যাক, আমার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, যেখানে দুটো ফাইল থাকবে: (১) index.html আর (২) style.css। ওযেবসাইটের নাম “mywebsite”। এখন কী করবো? … খুব সহজ, mywebsite নামের একটা ফোল্ডার তৈরি করে তার ভিতরে ফাইল দুটো রাখবো। তাহলে আমরা যদি বলি ঐ mywebsite ফোল্ডারটা হলো আমাদের প্রজেক্ট ফোল্ডার, ইউনিক্সের ভাষায় যাকে বলে ডিরেক্টরি, আর গিটের ভাষায় যাকে বলে রেপোযিটরি (repository)। ব্যস রেপোযিটরি বুঝে ফেললাম আমরা – রেপোযিটরি হলো আমাদের প্রজেক্টের সকল ফাইল একত্র করে রাখার একটা স্থান। তাহলে দেখা যাচ্ছে, একটা ফোল্ডার আর রেপোযিটরির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। …আসলে তা কিন্তু সত্যি নয় – পার্থক্য আছে।
গিট (Git) হলো হাল আমলের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং জনপ্রিয় ভার্সন নিয়ন্ত্রণ সফ্টওয়্যার। …ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী – আমরা সেটা দেখবো। আমরা যেহেতু একেবারে প্রাথমিক আলোচনা করছি, তাই অনেক বিষয়ই জানা থাকলেও একটু না একটু আলোচনা করতেই হবে, ধারণা পরিষ্কার হবে, আমরা বিষয়টা বুঝবোও সহজে। মনে রাখতে হবে, এপৃথিবীর সবকিছুর মূলে রয়েছে কিছু কনসেপ্ট বা ধারণা। ধারণাটা বুঝে ফেললে বাকি সব পানিভাত। Git নামটা বুঝার আগে আমি GitHub নামটা শুনেছিলাম, এবং এই দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে পারতাম না প্রথম প্রথম। আপনাদের মনেও যদি এই প্রশ্নটা থাকে, তাও আমরা পরিষ্কার করবো ইনশাল্লাহ। তবে শর্ত হলো দুটো –
যদি জানতে হয়, শিখতে হয়, পুরো লেখাটা দুই পর্বেরই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, খুব সহজে, সংক্ষেপে গিট বুঝাতে চলেছি, এবং আমার মতো মোটা মাথায় যদি ঢুকতে পারে, আপনাদের জন্য তো চিন্তারই কারণ নেই।
সংক্ষেপে বলো – সহজে বলো
গিট সম্পর্কে জানতে হলে কি আপনার এইসব ফিরিস্তি পড়তে হবে বসে বসে? …মোট্টেই না।
অনেকেই গিট শেখার ভিডিও আপলোড করেছেন, অনেক ওয়েবসাইট আছে বিনামূল্যে গিট শিখাবে হাতে ধরে ধরে, অনেক বই আছে গিট-এর উপর। যদি লম্বা কথা পড়ে পড়ে শেখার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে সেগুলো তো দেখা যায়ই-
গিট পরিচিতি – হাসিন হায়দার – shell ব্যবহার করে গিট ব্যবহারের উপর বাংলায় ভিডিও টিউটোরিয়াল
ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী
গিট বুঝতে গেলে একটু বুঝে নেয়া দরকার, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ বিষয়টা কী। সহজে বলতে গেলে নিচের টেক্সট ফাইলটি (Readme.txt) দেখা যাক:
20140919~15:03:40
This is a readme file
20140919~15:04:27
A readme file that is changed from its original state
20140919~15:04:55
A readme file that is changed from its original state. And something appended after the first paragraph.
এই টেক্সট ফাইলটিকে আমরা একটা ছোট্ট উদাহরণ হিসেবে নিয়েছি। এখানে আপনারা ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন তিনটা আলাদা আলাদা সময়ের উল্লেখ আছে, যদিও তারিখটা একই আছে। তিনটা আলাদা সময়ে ফাইলটাতে তিনটা আলাদা পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম সময়ে (15:03:40) যে লেখাটা ছিল, পরের সময়েই (15:04:27) সেই লেখাটা প্রায় পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে (মানে বাদ দিয়ে, যোগ করা হয়েছে)। আবার তার পরের সময়ে (15:04:55) দ্বিতীয় লেখাটা না ছুঁয়ে তার সাথে নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এই তিনটা পরিবর্তনই কিন্তু একই ফাইলে হয়েছে, শুধু পার্থক্য হলো, এগুলো বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। এখন আমরা এই তিনটা সময়কে যদি এই ফাইলটার তিনটা আলাদা আলাদা অবস্থা ধরে নিই, তাহলে তা-ই কিন্তু ভার্সন (version)।
আমাদের ফাইলটি এখন খুললে আমরা কোন অবস্থায় পাবো, মানে কোন ভার্সনে পাবো? অবশ্যই সর্বশেষ ভার্সনে, মানে 15:04:55 সময়ে আপডেট করা ভার্সনটি। কিন্তু ধরা যাক, কোনো কারণে আমাদের প্রথম বাক্যটার (A readme file that is…) জায়গায় দরকার একেবারে প্রথমে যে বাক্যটা লিখেছিলাম, সেই বাক্যটা (মানে: This is a readme file বাক্যটা)। এখন তাহলে কোথায় পাবো সেটা? …কোত্থাও পাওয়া যাবে না, কারণ ফাইলটার পুরোন সেই লেখাটা এখন আর ফাইলে নেই – ঐ লেখাটা মুছেইতো সর্বশেষ অবস্থা পেলাম। …এজন্যই দরকার পড়ে ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণের, যেখানে আমাদের পুরোন কাজগুলো কখন কেমন ছিল, তার একটা রূপ আমরা পরেও দরকার পড়লে পাই। আবার এমনও হতে পারে, ফাইলের সব লেখা মুছে কেউ সব উল্টাপাল্টা করে ফেললো, তখন ফাইলের বিভিন্ন ভার্সন থাকলে আমরা পুরোন ভার্সনটাতে ফাইলটাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো সহজে। এই কালানুগ কিংবা অবস্থানুগ পরিবর্তনের চিত্রটাই হলো ভার্সন, আর উপরে বর্ণিত কারণগুলোর জন্যই মূলত আমাদের ভার্সন নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়ে।
আমরা যারা কোড লিখি, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ করাটা তাদের খুব কাজে লাগে। হয়তো তিন মাস আগের করা কোনো কাজ, যা পরে ফেলে দিয়েছিলাম, তা-ই আজকে অন্য এক জায়গায় কাজে লাগছে – তখন পুরোন ভার্সন থেকে আমরা সেটা পেয়ে যেতে পারি। আর, এখন এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমাদেরকে কখনও কখনও নিজের গন্ডির বাইরেও অন্য কোনো কোডারের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। তখন নিজেদের কাজগুলো এক জায়গায় রেখে দুজনের কাজকে বুঝে-শুনে একত্র করে করে এগিয়ে যাওয়ার একটা দারুণ উপায় হলো ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – বিশেষ করে ডিস্ট্রিবিউটেড ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – যা গিট-এর মাধ্যমে আরো বেগবান হয়েছে। আবার একই অফিসে একাধিক ডেভলপার একই প্রজেক্টে মিলেমিশে কাজ করলেও গিটের তুলনা নেই, তখন একই কাজের পূণরাবৃত্তি রোধ করে যার যার অবস্থান থেকে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই।
হালনাগাদ: জুন ৪, ২০১৬: ওয়ার্ডপ্রেস ৪.৩ সংস্করণ থেকে কাস্টোমাইযার ব্যবহার করে লগো আপলোডের সুবিধা যোগ করা হয়েছে এবং এই লগোই সাইটের জন্য ফেভিকনের কাজ করে। সুতরাং এই টিউটোরিয়ালটি অনুসরণের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনার সাইটে লগো-সুবিধাটি থাকাসত্ত্বেয় আপনি এটি ব্যবহার করতে চান। ধন্যবাদ।
ফেভিকন (favicon) হলো ওয়েবসাইটের একটা সংক্ষিপ্ততম পরিচিতি বা ব্র্যান্ডিং, যা, আপনি ওয়েবসাইট খুললে ব্রাউযারের ট্যাবে কিংবা টাইটেল বারে, ওয়েবসাইটের নামের পাশে দেখা যায়। সাধারণত ওয়েবসাইটের লগো’র ছোট্ট রূপটাই ফেভিকন হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে এক্ষেত্রে ফেভিকনটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ – যা ইচ্ছা তা হতে পারে। কোনো ওয়েবসাইটে ফেভিকন যুক্ত করার জন্য HTML <head> ট্যাগের ভিতর নিচের লাইনটি লিখতে হয়, আর যথাস্থানে .ico (Icon) এক্সটেনশানের একটা ইমেজ ফাইল রাখতে হয়:
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটেও একইভাবে ফেভিকন যুক্ত করা যায়, তবে ওয়ার্ডপ্রেসে ফাইলের পাথ (মানে কোথায় ফাইলটি আছে) বোঝানো একটু অন্যরকম, তাছাড়া সর্বত্র ফেভিকনকে দেখানোর বিষয়টিও আমরা এখানে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
প্রথমত জেনে নেয়া দরকার, আপনি এই কাজটি থিম কিংবা প্লাগইন উভয় পদ্ধতিতেই করতে পারেন – আমরা উভয় পদ্ধতিই আলোচনা করছি:
প্রস্তুতি
যে ছবিটিকে ফেভিকন হিসেবে দেখাতে চান, তা নির্বাচন করুন, এবং যেকোনো ছবি এডিট করার টুল (যেমন: পেইন্ট, ফটোশপ, গিম্প ইত্যাদি) দিয়ে ছবিটিকে 16px × 16px কিংবা 32px × 32px-এ সংরক্ষণ করুন। ছবির ফাইলটি .jpg (JPEG), .png (PNG), .gif (GIF) ইত্যাদি যেকোনো ফর্মেটেরই হতে পারে। তবে ব্যাকগ্রাউন্ডহীন ছবি হলে .png-তে সংরক্ষণ করতে হবে।
ফাইলটিকে রিনেম করুন, এবং এক্সটেনশানটা বদলে .ico করে ফেলুন। ধরা যাক আপনার ছবিটি ছিল favicon.png, এবারে তা হয়ে গেল favicon.ico।
ইংরেজি মুভি দেখতে বসেছি, কিন্তু তবু ইংরেজিটা বুঝতে পারছি না, কারণ হলিউডের মুভি দেখতে দেখতে অ্যামেরিকান ইংরেজিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায়, চিফ ব্রিটিশ ইংরেজি সহজে বুঝতে পারছি না, মুভিটার নাম: Sherlock Homes। তাই খুব সহজে গুগল করলাম প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ছোট্ট একটা ফাইল নামিয়ে ভিডিও প্লেয়ারেই চলচ্চিত্রের কথাগুলো নিচে লেখা অবস্থায় দেখতে পেলাম – একে চলচ্চিত্রবিদ্যায় কী বলা হয় জানি না, তবে আমরা সাধারণ মানুষ একে ‘সাবটাইটেল’ হিসেবে জানি।
সাবটাইটেল ফাইল পরিচিতি
সাবটাইটেল ফাইলগুলোর এক্সটেনশন হলো SRT (*.srt)। ফাইলের নাম যা ইচ্ছা হতে পারে, ভিডিও প্লেয়ারে ভিডিওটি চালু করে এসআরটি ফাইলটি লোড করে দিলেই হয়, সময় বুঝে বুঝে সে ভিডিও চলার সাথে সাথে নিচে সাবটাইটেল দেখাতে থাকবে। এই ফাইলগুলোতে শুধু লেখা বা অক্ষর থাকে বলে এগুলোর আকার হয় যথেষ্ট কম, মাত্র কয়েক কিলোবাইট (KB)।
এই টিউটোরিয়ালটা যখন লিখতে শুরু করি, তখন চিন্তা করছিলাম, এর কি আসলে কোনো দরকার আছে? কিন্তু লিখতে শুরু করে বুঝতে পারলাম, এর ঢের দরকার আছে। যাহোক, আজকের টিউটোরিয়াল হলো ফটোশপের ওয়ার্কস্পেস বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার একটা চেষ্টা মাত্র। এই টিউটোরিয়াল থেকে আমরা জানবো ফটোপশ চালু হলে কোন অংশকে কী বলে, আর কোন অংশটা কী জন্যইবা।
চিত্র ১ থেকে আমরা পুরো উইন্ডো’র একটা পরিচিতি পেয়ে যাবো। নিচে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেয়া হলো (এগুলোর বিস্তারিত আমরা ভবিষ্যতে জানবো, ইনশাল্লাহ):
টাইটেল বার: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এখানে দেখা যাবে পরিচিতিমূলক নাম বা টাইটেল। সবচেয়ে উপরের অংশটিতেই তা থাকে। যেহেতু আমাদের সফ্টওয়্যারের নাম ফটোশপ, তাই এখানে টাইটেল বারে লেখা Adobe Photoshop।