কমান্ডলাইনে কাজ করার মজা একজন প্রোগ্রামার খুব উপভোগ করেন। কমান্ডলাইন কী? উইন্ডোজে যেমন ডস মোডে প্রোগ্রাম লিখে কাজ করা – বিষয়টা তা-ই। ওমুক ফোল্ডারে ঢুকতে হলে লিখতে হয় cd omukমহা মসিবতের কথা! অথচ GUI পদ্ধতিতে আমরা মাত্র একটা ক্লিকে কত অনায়াসে ফোল্ডারের পর ফোল্ডারে যাতায়াত করতে থাকি। কিন্তু GUI পদ্ধতিতে কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হয়, অথচ কমান্ডলাইনে (মানে কমান্ড লিখে) খুব অনায়াসে, হয়তো মাত্র এক লাইনের একটা কোড লিখে কাজগুলো একসাথে করে ফেলা যায় – বলা ভালো তুড়ি মেরে করে ফেলা যায়। খুব সহজ একটা উদাহরণ হতে পারে, অমুক ফোল্ডারে ঢুকে সেখানকার সকল ফাইল তমুক ফোল্ডারে নিয়ে যাও। আপনি যেখানে কাজটি করতে পারবেন কমান্ডলাইনে মাত্র এক লাইনের কমান্ড লিখে, সেখানে GUI পদ্ধতিতে আপনাকে অনেকগুলো ফোল্ডারে ঘুরাঘুরি করে কাজটি করতে হবে। কমান্ডলাইন ব্যবহার করার মজাটা ব্যবহার না করেই বুঝতে চাইলে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের সাথে তুলনা করে বুঝা যেতে পারে। খুব সহজে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে কপি-পেস্ট করার কমান্ডটি (ctrl+c » ctrl+v) আমরা হরহামেশা ব্যবহার করি। যারা অভ্যস্ত তারা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে, এটা মাউস ব্যবহার করার চেয়ে দ্রুত। 🙂

আমরা আশা করি কমান্ডলাইনের মজা আর কার্যকারিতার শক্তিমত্তা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গেছি। ব্যস, আমাদের আজকের আলোচনা কমান্ডলাইন নিয়ে হলেও তা অপারেটিং সিস্টেমের শেল কমান্ডলাইন না, বরং আমাদের বহুল পরিচিত, বহুল ব্যবহৃত ওপেন সোর্স ব্রাউজার Mozilla Firefox-এর কমান্ডলাইন, যার কেতাবি নাম হচ্ছে GCLI (Graphical Command Line Interpreter) – সোজা বাংলায়: কমান্ড লাইনের লেখাকে দৃষ্টিগ্রাহ্য করে কাজে রূপান্তর করার প্রোগ্রাম। এটি ফায়ারফক্সের বিল্ট-ইন ওয়েব ডেভলপার টুল-এর একটি এক্সটেনশন।

এই কমান্ডলাইনটি অতি সম্প্রতি আমার এক সহকর্মী আমাকে দেখালেন, আমি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-এর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এটি ইউনিক্স কনসোলের মতোই অপূর্ব একটি ফিচার। এতোদিন কেন দেখলাম না, নিজেকেই শুধাই!

Continue reading

গিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান - ন্যানোডিযাইন্‌স

« আগের পর্ব

গত পর্বে আমরা গিট সম্পর্কে অন্তর্নিহীত একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম, এবং এখন আমরা গিট কী তা শুধু জানিই না, বুঝিও; কিভাবে গিট কাজ করে তাও জানি, খানিকটা বুঝিও – আজকে তা পুরোপুরি বুঝে নিবো ইনশাল্লাহ। আমরা কম্পিউটারে গিট ইন্সটল করে ফেলেছি আর সেটাকে সম্পূর্ণ নিজের করে নিয়েছি। এবারে কাজ শুরু করে দেয়া যাক:

আমরা গত পর্বে বলেছিলাম মাত্র ৬টা কমান্ড দিয়ে শিখে নিব, গিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। …এখুনি হাত নোংরা করার দরকার নেই, একটু ভালো করে বুঝে নিতে হবে আগে। গিট রেপোযিটরি (কিংবা রেপোজিটোরি) কী? গিট কমিট কী (কমিটি নয় কিন্তু, কিংবা কম্মিট বলারও দরকার নেই)? স্টেজ করা কী? …বুঝে বুঝে এগোলে কনসেপ্ট পরিষ্কার হবে, নতুন কিছু গ্রহণ করাও সহজ হবে।

গিট - ফোল্ডার স্ট্রাকচার
গিট – ফোল্ডার স্ট্রাকচার

ধাপে ধাপে গিট

গিট রেপোযিটরি: ধরা যাক, আমার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, যেখানে দুটো ফাইল থাকবে: (১) index.html আর (২) style.css। ওযেবসাইটের নাম “mywebsite”। এখন কী করবো? … খুব সহজ, mywebsite নামের একটা ফোল্ডার তৈরি করে তার ভিতরে ফাইল দুটো রাখবো। তাহলে আমরা যদি বলি ঐ mywebsite ফোল্ডারটা হলো আমাদের প্রজেক্ট ফোল্ডার, ইউনিক্সের ভাষায় যাকে বলে ডিরেক্টরি, আর গিটের ভাষায় যাকে বলে রেপোযিটরি (repository)। ব্যস রেপোযিটরি বুঝে ফেললাম আমরা – রেপোযিটরি হলো আমাদের প্রজেক্টের সকল ফাইল একত্র করে রাখার একটা স্থান। তাহলে দেখা যাচ্ছে, একটা ফোল্ডার আর রেপোযিটরির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। …আসলে তা কিন্তু সত্যি নয় – পার্থক্য আছে।

Continue reading

গিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান - ন্যানোডিযাইন্‌স
গিট-এর লগো

গিট (Git) হলো হাল আমলের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং জনপ্রিয় ভার্সন নিয়ন্ত্রণ সফ্‌টওয়্যার। …ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী – আমরা সেটা দেখবো। আমরা যেহেতু একেবারে প্রাথমিক আলোচনা করছি, তাই অনেক বিষয়ই জানা থাকলেও একটু না একটু আলোচনা করতেই হবে, ধারণা পরিষ্কার হবে, আমরা বিষয়টা বুঝবোও সহজে। মনে রাখতে হবে, এপৃথিবীর সবকিছুর মূলে রয়েছে কিছু কনসেপ্ট বা ধারণা। ধারণাটা বুঝে ফেললে বাকি সব পানিভাত। Git নামটা বুঝার আগে আমি GitHub নামটা শুনেছিলাম, এবং এই দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে পারতাম না প্রথম প্রথম। আপনাদের মনেও যদি এই প্রশ্নটা থাকে, তাও আমরা পরিষ্কার করবো ইনশাল্লাহ। তবে শর্ত হলো দুটো –

  1. যদি জানতে হয়, শিখতে হয়, পুরো লেখাটা দুই পর্বেরই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
  2. আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, খুব সহজে, সংক্ষেপে গিট বুঝাতে চলেছি, এবং আমার মতো মোটা মাথায় যদি ঢুকতে পারে, আপনাদের জন্য তো চিন্তারই কারণ নেই।

সংক্ষেপে বলো – সহজে বলো

গিট সম্পর্কে জানতে হলে কি আপনার এইসব ফিরিস্তি পড়তে হবে বসে বসে? …মোট্টেই না।

অনেকেই গিট শেখার ভিডিও আপলোড করেছেন, অনেক ওয়েবসাইট আছে বিনামূল্যে গিট শিখাবে হাতে ধরে ধরে, অনেক বই আছে গিট-এর উপর। যদি লম্বা কথা পড়ে পড়ে শেখার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে সেগুলো তো দেখা যায়ই-

ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী

গিট বুঝতে গেলে একটু বুঝে নেয়া দরকার, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ বিষয়টা কী। সহজে বলতে গেলে নিচের টেক্সট ফাইলটি (Readme.txt) দেখা যাক:

Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:03:40 This is a readme file
Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:04:27 A readme file that is changed from its original state
Readme.txt ফাইলের আইকন 20140919~15:04:55 A readme file that is changed from its original state. And something appended after the first paragraph.

এই টেক্সট ফাইলটিকে আমরা একটা ছোট্ট উদাহরণ হিসেবে নিয়েছি। এখানে আপনারা ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন তিনটা আলাদা আলাদা সময়ের উল্লেখ আছে, যদিও তারিখটা একই আছে। তিনটা আলাদা সময়ে ফাইলটাতে তিনটা আলাদা পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম সময়ে (15:03:40) যে লেখাটা ছিল, পরের সময়েই (15:04:27) সেই লেখাটা প্রায় পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে (মানে বাদ দিয়ে, যোগ করা হয়েছে)। আবার তার পরের সময়ে (15:04:55) দ্বিতীয় লেখাটা না ছুঁয়ে তার সাথে নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এই তিনটা পরিবর্তনই কিন্তু একই ফাইলে হয়েছে, শুধু পার্থক্য হলো, এগুলো বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। এখন আমরা এই তিনটা সময়কে যদি এই ফাইলটার তিনটা আলাদা আলাদা অবস্থা ধরে নিই, তাহলে তা-ই কিন্তু ভার্সন (version)।

আমাদের ফাইলটি এখন খুললে আমরা কোন অবস্থায় পাবো, মানে কোন ভার্সনে পাবো? অবশ্যই সর্বশেষ ভার্সনে, মানে 15:04:55 সময়ে আপডেট করা ভার্সনটি। কিন্তু ধরা যাক, কোনো কারণে আমাদের প্রথম বাক্যটার (A readme file that is…) জায়গায় দরকার একেবারে প্রথমে যে বাক্যটা লিখেছিলাম, সেই বাক্যটা (মানে: This is a readme file বাক্যটা)। এখন তাহলে কোথায় পাবো সেটা? …কোত্থাও পাওয়া যাবে না, কারণ ফাইলটার পুরোন সেই লেখাটা এখন আর ফাইলে নেই – ঐ লেখাটা মুছেইতো সর্বশেষ অবস্থা পেলাম। …এজন্যই দরকার পড়ে ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণের, যেখানে আমাদের পুরোন কাজগুলো কখন কেমন ছিল, তার একটা রূপ আমরা পরেও দরকার পড়লে পাই। আবার এমনও হতে পারে, ফাইলের সব লেখা মুছে কেউ সব উল্টাপাল্টা করে ফেললো, তখন ফাইলের বিভিন্ন ভার্সন থাকলে আমরা পুরোন ভার্সনটাতে ফাইলটাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো সহজে। এই কালানুগ কিংবা অবস্থানুগ পরিবর্তনের চিত্রটাই হলো ভার্সন, আর উপরে বর্ণিত কারণগুলোর জন্যই মূলত আমাদের ভার্সন নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়ে।

আমরা যারা কোড লিখি, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ করাটা তাদের খুব কাজে লাগে। হয়তো তিন মাস আগের করা কোনো কাজ, যা পরে ফেলে দিয়েছিলাম, তা-ই আজকে অন্য এক জায়গায় কাজে লাগছে – তখন পুরোন ভার্সন থেকে আমরা সেটা পেয়ে যেতে পারি। আর, এখন এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমাদেরকে কখনও কখনও নিজের গন্ডির বাইরেও অন্য কোনো কোডারের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। তখন নিজেদের কাজগুলো এক জায়গায় রেখে দুজনের কাজকে বুঝে-শুনে একত্র করে করে এগিয়ে যাওয়ার একটা দারুণ উপায় হলো ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – বিশেষ করে ডিস্ট্রিবিউটেড ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – যা গিট-এর মাধ্যমে আরো বেগবান হয়েছে। আবার একই অফিসে একাধিক ডেভলপার একই প্রজেক্টে মিলেমিশে কাজ করলেও গিটের তুলনা নেই, তখন একই কাজের পূণরাবৃত্তি রোধ করে যার যার অবস্থান থেকে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই।

ভার্সন নিয়ন্ত্রণের পুরোন পদ্ধতি ফেলে এখন যখন গিট

Continue reading

ওয়ার্ডপ্রেসে অ্যাডভান্সড সার্চ তৈরির উপায়

⚠️ সচেতন থাকুন: এই টিউটোরিয়ালটি অতি সাধারণ ধারণার ভিত্তিতে তৈরি, এবং এক প্রকারের বাংলা পদ্ধতি বলা যায়, মানে চলে, ব্যস চলছে-ঘরাণার সমাধান। প্রকৃত ওয়ার্ডপ্রেসভিত্তিক সমাধান নিয়ে একটি কিংবা একাধিক পোস্ট লেখার পর্যায়ে রয়েছে। সমাপ্ত হওয়ামাত্র আমরা এই tuts nano-তেই তা প্রকাশ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

ওয়ার্ডপ্রেস সার্চ বা অনুসন্ধান করার বিষয়টি ডিফল্টভাবেই থাকে, <?php get_search_form(); ?> লিখেই আমরা সার্চ ফর্মটা লোড করে নিতে পারি থিম কিংবা প্লাগইন ইন্টাফেসে। আর সার্চ করার পর ফলাফল দেখার জন্য search.php টেমপ্লেটটা সাজিয়ে নিতে হয়, তাহলেই অনুসন্ধানের ফলাফল দেখা যায়। কিন্তু ডিফল্ট সার্চ সুবিধাটি শুধুমাত্র keyword বা লেখার টুকরা নিয়ে অনুসন্ধান করে, যা সাধারণত পোস্ট, পেজ ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ — কাস্টম ফিল্ড, ট্যাক্সোনমি ইত্যাদিতে অতিরিক্ত উপাদানের ভিতরকার তথ্যাদি অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে অ্যাডভান্সড সার্চ তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে কয়েকটা আলাদা আলাদা উপাদানের বিভিন্ন মিশ্রণের প্রেক্ষিতে কিছু খুঁজে নেয়ার দরকার হতে পারে। যেমন: একটা অনলাইন স্টোর ওয়েবসাইট, কিংবা অনলাইনে গাড়ি বিক্রীর ওয়েবসাইট, যেখানে পণ্যের বা গাড়ির দাম, পণ্যের বা গাড়ির আকার, পণ্যের বা গাড়ির রং ইত্যাদি আলাদা আলাদা মিশ্রণে পণ্য বা গাড়ি খুঁজে নেয়ার দরকার হতে পারে — কেউ লাল রঙের গাড়ি ১টি চাইতে পারে, কেউ নীল রঙের গাড়ি ৩টি চাইতে পারে। তো এসব ক্ষেত্রে অ্যাডভান্সড সার্চ তৈরি করার দরকার পড়ে। আমরা আজকে ধারণা নিবো কিভাবে তা করা যায়:

ধাপ ১

Continue reading

ওয়ার্ডপ্রেস wp-config.php মুছে ফেললে করণীয় - tuts nano

যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন, তারা জানেন যে, ওয়ার্ডপ্রেসের wp-config.php ফাইলটি পুরো ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশনের মাথাস্বরূপ। এই ফাইলে সামান্য ত্রুটির কারণে পুরো ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশনই ভজকট পাকিয়ে যেতে পারে, এমনকি নতুন করে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা লাগতে পারে। সেকারণে এই ফাইলটি এডিট করতে খুব বেশি সাবধান থাকতে হয়, এবং ডেভলপারদেরকে এই ফাইলটি এডিট করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দেয়া আছে (দেখুন: Codex: Editing wp-config.php^), যাতে তারা পারতপক্ষে ভুল না করেন। ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানুয়ালি, মানে নিজের হাতে আপডেট করার ক্ষেত্রেও এমনভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে (দেখুন: Codex: Updating WordPress^) যাতে, এই ফাইলটা তার মতো যথাস্থানে রেখেই আপনি নতুন ফাইল দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস আপডেট করে নিতে পারেন।

কিন্তু মানুষ মাত্রেই ভুল হতেই পারে। কিছু ভুল আছে, যেগুলো সংশোধনের অযোগ্য, কিন্তু আশার কথা হলো, এই ভুলটা সংশোধনযোগ্য, আর আজকে সেই কথাটিই জানাতে চাচ্ছি: ভুল করে wp-config.php ফাইলটি যদি মুছেই দিয়ে থাকেন, তাহলে দুটো উপায় অবলম্বন করতে পারেন:

  • সহজ পদ্ধতি: পুণরুদ্ধার করা
  • একটু ঝামেলার: নতুন করে সাজিয়ে নেয়া

সহজ পদ্ধতি: পুণরুদ্ধার করা

আপনার প্রজেক্টের যদি কোনো ব্যাকআপ থাকে, তাহলে সেটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, পুরোন সেই ব্যাকআপ থেকে আপনার wp-config.php ফাইলটি কপি করে আপনার প্রজেক্টে পেস্ট করে নিন, ব্যস, কাজ শেষ। কিন্তু ব্যাকআপ যদি না থাকে, তাহলে…

কম্পিউটারে দুভাবে ফাইল ডিলিট করা যায়, শুধু Del (Delete) চেপে, কিংবা Shift + Del চেপে। প্রথম পদ্ধতিতে ডিলিট করলে বা মুছলে তা আমরা Recycle Bin-এ পাওয়া যায়, সেটা একটা শিশুও জানে, কিন্তু দ্বিতীয় পদ্ধতিতে মুছলে তা আর আমরা কোত্থাও পাই না… কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। আসলে কম্পিউটার, পুরোপুরি মুছে ফেলা ফাইলগুলোকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে রেখে দেয় যে, অন্য আরেকটা ফাইল দিয়ে তা ওভাররাইট বা প্রতিস্থাপন করা যায়, কিন্তু সেটা স্বাভাবিক কোনো অবস্থায় বা স্থানে আমরা দেখতে পাই না। সেই সব হারিয়ে যাওয়া ফাইল পুণরুদ্ধারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ডাটা-রিকভারি সফ্‌টওয়্যার। অনেক সফ্‌টওয়্যারই আমি এজন্য ব্যবহার করেছি, কিন্তু Piriform-এর Recuva’র মতো ছোট্ট আকারের, আর দ্রুত খুঁজে এনে দেয়ার মতো সফ্‌টওয়্যার, তাও আবার বিনামূল্যের সফ্‌টওয়্যার, আমি আর পাইনি। Recuva চালু করে, যে ড্রাইভ থেকে wp-config.php ফাইলটা হারিয়ে গেছে, সেই ড্রাইভটা স্ক্যান করুন, এরপর মুছে যাওয়া ফাইলটি, কিংবা হারিয়ে যাওয়া ফাইলটি উদ্ধার করে ফেলুন।

কিন্তু এজাতীয়, হারিয়ে যাওয়া, প্রতিস্থাপনযোগ্য ফাইল ফিরে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, তার উপর, আগের অবস্থায় যথাযথ রূপে ফিরে পাওয়া তো রীতিমতো দুষ্কর। তাই কোনো ফাইল ভুল করে মুছে ফেললে, কম্পিউটারে অন্য সকল কাজ বন্ধ রেখে আগে ডাটা রিকভারি সফ্‌টওয়্যার চালানো উচিত, নয়তো অন্য কোনো চালু প্রোগ্রামের মুছে ফেলা ক্যাশ ফাইল গিয়ে এ ফাইলটির খানিকটা কিংবা পুরোটা প্রতিস্থাপন করে ফেলতে পারে, হারিয়ে যেতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফাইলটি।

তাই এই পদ্ধতিটা সহজ হলেও সব সময় ঠিক কাজের না, হারিয়ে যাওয়া wp-config.php ফাইলটা আমরা অনেক সময়ই পাই না। তাই দরকার পড়ে একটু ঝামেলা করে wp-config.php আবার নতুন করে সাজিয়ে ফেলার…

একটু ঝামেলার: নতুন করে সাজিয়ে ফেলা

Continue reading

ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের সর্বত্র ফেভিকন যোগ - ন্যানোডিযাইন্‌স

হালনাগাদ: জুন ৪, ২০১৬: ওয়ার্ডপ্রেস ৪.৩ সংস্করণ থেকে কাস্টোমাইযার ব্যবহার করে লগো আপলোডের সুবিধা যোগ করা হয়েছে এবং এই লগোই সাইটের জন্য ফেভিকনের কাজ করে। সুতরাং এই টিউটোরিয়ালটি অনুসরণের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনার সাইটে লগো-সুবিধাটি থাকাসত্ত্বেয় আপনি এটি ব্যবহার করতে চান। ধন্যবাদ।

Grab the Original English version here on WordPress StackExchange

জ্ঞানস্তর: প্রাথমিক/মাধ্যমিক স্তর

সময়: ৫ মিনিট

ফেভিকন (favicon) হলো ওয়েবসাইটের একটা সংক্ষিপ্ততম পরিচিতি বা ব্র্যান্ডিং, যা, আপনি ওয়েবসাইট খুললে ব্রাউযারের ট্যাবে কিংবা টাইটেল বারে, ওয়েবসাইটের নামের পাশে দেখা যায়। সাধারণত ওয়েবসাইটের লগো’র ছোট্ট রূপটাই ফেভিকন হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে এক্ষেত্রে ফেভিকনটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ – যা ইচ্ছা তা হতে পারে। কোনো ওয়েবসাইটে ফেভিকন যুক্ত করার জন্য HTML <head> ট্যাগের ভিতর নিচের লাইনটি লিখতে হয়, আর যথাস্থানে .ico (Icon) এক্সটেনশানের একটা ইমেজ ফাইল রাখতে হয়:

<link rel="shortcut icon" href="images/favicon.ico" />

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটেও একইভাবে ফেভিকন যুক্ত করা যায়, তবে ওয়ার্ডপ্রেসে ফাইলের পাথ (মানে কোথায় ফাইলটি আছে) বোঝানো একটু অন্যরকম, তাছাড়া সর্বত্র ফেভিকনকে দেখানোর বিষয়টিও আমরা এখানে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

প্রথমত জেনে নেয়া দরকার, আপনি এই কাজটি থিম কিংবা প্লাগইন উভয় পদ্ধতিতেই করতে পারেন – আমরা উভয় পদ্ধতিই আলোচনা করছি:

প্রস্তুতি

যে ছবিটিকে ফেভিকন হিসেবে দেখাতে চান, তা নির্বাচন করুন, এবং যেকোনো ছবি এডিট করার টুল (যেমন: পেইন্ট, ফটোশপ, গিম্প ইত্যাদি) দিয়ে ছবিটিকে 16px × 16px কিংবা 32px × 32px-এ সংরক্ষণ করুন। ছবির ফাইলটি .jpg (JPEG), .png (PNG), .gif (GIF) ইত্যাদি যেকোনো ফর্মেটেরই হতে পারে। তবে ব্যাকগ্রাউন্ডহীন ছবি হলে .png-তে সংরক্ষণ করতে হবে।

ফাইলটিকে রিনেম করুন, এবং এক্সটেনশানটা বদলে .ico করে ফেলুন। ধরা যাক আপনার ছবিটি ছিল favicon.png, এবারে তা হয়ে গেল favicon.ico।

ব্যস, প্রস্তুতি শেষ। এবারে কাজে নামার পালা।

থিম-এর মাধ্যমে ফেভিকন যোগ

Continue reading

Column Design using PHP-CSS by nanodesigns

জ্ঞানস্তর: মাধ্যমিক

লক্ষ্যণীয়: এই আলোচনায় ধরে নেয়া হয়েছে যে, পাঠকের পিএইচপি কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট এবং লুপ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রয়েছে।

আমি ফেসবুকে আমার অনেকগুলো ছবি একটা অ্যালবামে আপলোড করলাম, তারপর যখন অ্যালবামটা খুললাম, তখন দেখি ছবিগুলো কেমন থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যেন পাশাপাশি পাঁচটা বাক্সে পাঁচটা ছবি, তারপর নিচে আবার পাঁচটা বাক্সে পাঁচটা ছবি… বেশ সুন্দর! কিংবা ধরা যাক, আমি একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আমার লেখাগুলো একটার পর একটা আসছে। এখন আমি চাচ্ছি যাতে লেখাগুলো দুই কলামে আসে – একটা লেখা বামের কলামে, তো দ্বিতীয় লেখাটা হবে ডানের কলামে, আবার তৃতীয় লেখাটা পরের লাইনে গিয়ে বসবে বামের কলামে… দারুণ হবে বিষয়টা। যারা পিএইচপি জানেন, তারা জানেন যে, এই ছবিগুলোকে একত্র করে দেখানো কিংবা লেখাগুলোকে একটার পর একটা নিয়ে এসে দেখানোর কাজটা করা হয় পিএইচপি লুপ ব্যবহার করে।

আমরা এরকম একটি অতি সাধারণ for loop নিলাম, যেখানে কিছু CSS ব্যবহার করে আমরা একটা প্রাথমিক চেহারা দাঁড় করাবো বিষয়টা বোঝার জন্য।

PHP ব্যবহার করে লুপ চালিয়ে লেখা দেখানো

আমরা এজন্য কিছু CSS লিখলাম, যাতে বিষয়টা একটু বোধগম্য হয়, এই সিএসএস-এর সাথে কলামের এখনও কোনো সম্পর্ক নেই; আমরা আসলে, কলামটা যে ঠিকমতো কাজ করছে, সেটা যাতে বুঝতে পারি, তারই জন্য একটা প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।

Continue reading

ওয়ার্ডপ্রেস থিম অপশন্‌স পাতায় এডিটরকে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিন।

জ্ঞানস্তর: মাধ্যমিক/উচ্চস্তর
সময়: ৫ মিনিট

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, মানে নিজের মতো করে থিম বানিয়ে নেবার সময় নিজস্ব একটা অ্যাডমিন প্যানেল পাতা বানিয়ে নেয়াটা দারুণ একটা উদ্যোগ, এবং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের অনেক ফিচার অ্যাডমিন প্যানেল থেকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ এর অ্যাডমিন-ব্যবহারকারীদের দেয়া যায়। তো সেরকমই একটা ওয়েবসাইট ক্লায়েন্টকে বানিয়ে দেবার সময় দরকার পড়লো একটা অ্যাডমিন পাতা বানিয়ে দেবার।

ওয়ার্ডপ্রেসে অ্যাডমিন প্যানেলে আলাদা পাতা বানিয়ে সেটিংস ডাটাবেযে সংরক্ষণের চিন্তা করলেই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসের Settings API^‘র কথা চিন্তা করতে হবে। কারণ এই পদ্ধতিতে আপনি অনেক ঝামেলার বিষয়কে এড়িয়ে, হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা কমিয়ে আপনার সাইটের অ্যাডমিন প্যানেলে একটি সুরক্ষিত অ্যাডমিন সেকশন তৈরি করে নিতে পারবেন। কিন্তু সেটিংস এপিআই একটু সময় নিয়ে করতে হয়। যাহোক, সেটিংস এপিআই নিয়ে অন্য একদিন কথা বলা যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন অপশন্‌স ফ্রেমওয়ার্ক আছে, যেগুলো অনুসরণ করে অনেক কম সময়ে অনেক ভালো অ্যাডমিন সেকশন তৈরি করে ফেলা যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিগুলোর একটা সমস্যা আছে, সেটা হলো গতি। অ্যাডমিন ফ্রেমওয়ার্কগুলো সাইটকে অনেক ধীর করে দেয়। খুব ছোটখাটো কাজের জন্য তাই ফ্রেমওয়ার্কের বিকল্প হলো আমার গুরু Ian Stewart-এর Sample Theme Options^। মাত্র একটি ফাইল ব্যবহার করে দারুণ একটি থিম অপশন্‌স পেজ তৈরি করা যায় অনায়াসেই।

এরকমই একটি থিম অপশন্‌স পেজ তৈরি করে ফেলার পর যখন সাইটটা ক্লায়েন্টকে ডেলিভারি দেবার সময় ঘনিয়ে এলো, তখন বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেলো, ক্লায়েন্টের জন্য তৈরি করা editor ইউযার রোল হিসেবে লগইন করে ঐ থিম অপশন্‌স পেজ থেকে কোনো কিছু সংরক্ষণ করা যায় না। একটা এরর দেখায়:

Cheatin’ uh?

এররটা একটু বিতর্কিত, কারণ অনেকেই এধরণের ভুলকে ‘চিটারি’ বলে অপমান করা মনে করেন। যাহোক, সেটা আমাদের বিষয় না। …অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। কিন্তু আশানুরূপ কোনো সমাধান পেলাম না। ঘাঁটতে ঘাঁটতে ওয়ার্ডপ্রেসের trac-এ একটি টিকেট^ পেয়ে গেলাম, সেখানে একটা আপাত-সমাধান পেলাম।

সমাধানটা হলো ঐ পাতা ব্যবহারকারীর সক্ষমতা (capabilities) হিসেবে যদি edit_theme_options‘র বদলে manage_options করে দেয়া যায়, তাহলেই সব সমাধান হয়ে যায়। অর্থাৎ theme-options.php ফাইলের add_theme_page() ফাংশনটিকে যদি নিচের মতো করে লেখা যায়:

Continue reading

ওয়ার্ডপ্রেস পাসওয়ার্ড রিসেট, পিএইচপিমাইঅ্যাডমিন ছাড়াই

জ্ঞানস্তর: উচ্চস্তরের টিউটোরিয়াল

সময়: ১০ মিনিট

অতি সম্প্রতি আমার একজন ক্লায়েন্ট এমন একটি সাইট নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, যেখানে আগের ডেভলপার তাঁকে ঠকিয়েছে। সাইটটা যে ওয়ার্ডপ্রেসে করেছে, তাও বলেনি, সাইটের অ্যাডমিন প্যানেলের পাসওয়ার্ডও দিয়ে যায়নি। ক্লায়েন্ট আমাকে কন্ট্রোল প্যানেলের পাসওয়ার্ড দিতে পারলেও সেখানে ঢুকে আমি থ’ হয়ে গেলাম: ৫ গিগাবাইট সার্ভার স্পেস থাকাসত্ত্বেয় সেখানে phpMyAdmin কিংবা SQL Manager নেই, এখন কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যাকআপ নেয়া যায়? ব্যাকআপ না নিয়ে তো নতুন কাজে হাত দেয়া যায় না…

শেষ পর্যন্ত একটা উপায় খুঁজে পেলাম, যেভাবে কোনো এসকিউএল ম্যানেজার না থাকলেও ওয়ার্ডপ্রেস পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অ্যাডমিন প্যানেলে ঢোকা যাবে। নিচের কোডটি দেখুন:

3 এবং 6 নম্বর লাইনে লক্ষ করুন, এটা হলো আমাদের মূল কোড, এখানে আমাদের ওয়ার্ডপ্রেসের ডাটাবেজের তথ্যাদি যোগ করতে হবে। যেহেতু আপনার কাছে cPanel কিংবা কন্ট্রোল প্যানেলে ঢোকার অনুমতি আছে, তাই আপনি খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেসের wp-config.php ফাইলটি খুলতে পারবেন। সেখানে এই লাইনগুলো দেখতে পাবেন:

Continue reading

জ্ঞানস্তর: প্রাথমিক

ইংরেজি মুভি দেখতে বসেছি, কিন্তু তবু ইংরেজিটা বুঝতে পারছি না, কারণ হলিউডের মুভি দেখতে দেখতে অ্যামেরিকান ইংরেজিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায়, চিফ ব্রিটিশ ইংরেজি সহজে বুঝতে পারছি না, মুভিটার নাম: Sherlock Homes। তাই খুব সহজে গুগল করলাম প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য, এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ছোট্ট একটা ফাইল নামিয়ে ভিডিও প্লেয়ারেই চলচ্চিত্রের কথাগুলো নিচে লেখা অবস্থায় দেখতে পেলাম – একে চলচ্চিত্রবিদ্যায় কী বলা হয় জানি না, তবে আমরা সাধারণ মানুষ একে ‘সাবটাইটেল’ হিসেবে জানি।

চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বাংলা সাবটাইটেল, তৈরি করবো নিজেই :)
চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বাংলা সাবটাইটেল, তৈরি করবো নিজেই 🙂

সাবটাইটেল ফাইল পরিচিতি

সাবটাইটেল ফাইলগুলোর এক্সটেনশন হলো SRT (*.srt)। ফাইলের নাম যা ইচ্ছা হতে পারে, ভিডিও প্লেয়ারে ভিডিওটি চালু করে এসআরটি ফাইলটি লোড করে দিলেই হয়, সময় বুঝে বুঝে সে ভিডিও চলার সাথে সাথে নিচে সাবটাইটেল দেখাতে থাকবে। এই ফাইলগুলোতে শুধু লেখা বা অক্ষর থাকে বলে এগুলোর আকার হয় যথেষ্ট কম, মাত্র কয়েক কিলোবাইট (KB)।

সাবটাইটেল ফাইলের কার্যপদ্ধতি

Continue reading