কোনো একটা লম্বা নামকে সংক্ষিপ্ত করে লেখার দরকার হলো, এজন্য প্রত্যেকটা শব্দের প্রথম অক্ষরগুলো, মানে আদ্যক্ষর নিয়ে, আপনি সেই নামটা তৈরি করলেন, ইংরেজিতে যাকে বলে acronym। যেমন: Bangladesh Agricultural and Rural Development-কে সংক্ষেপে ডাকা হয় BARD বলে; এখানে BARD হলো পুরো নামটার সংক্ষিপ্ত রূপ। ধরা যাক, একটা লেখা লিখছেন, যেখানে বারবার আপনি BARD-ই বলে যাচ্ছেন। কিন্তু একজন পাঠক BARD-এর মানে তো নাও জানতে পারেন। তাই এসব ক্ষেত্রে HTML-এর সহজ একটা কৌশল কাজে লাগানো হয়: <abbr> ট্যাগটি। এর আগে ব্যবহার করা হতো <acronym> ট্যাগটি, যা এখন deprecated বা বাতিল করা হয়েছে।
এই কোডটা ব্যবহার করলে যখনই আপনি GDP কিংবা BARD লেখাটার উপরে মাউস আনবেন, একটু অপেক্ষা করলেই সেখানে একটা বাক্সে দেখাবে BARD-এর মানে, যা আপনি <abbr>-এর title-এ দিয়েছেন। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত এই স্টাইলটি অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। সেজন্য নিচের এই CSSটুকু বসিয়ে নিয়ে আপনি আরো দৃষ্টিনন্দন করে নিতে পারেন HTML-এর নিজস্ব টুলটিপকেই। টুলটিপের জন্য অন্য কিছু আবিষ্কার না করে <abbr> ট্যাগ ব্যবহার করাটা Web Accessibility-ও নিশ্চিত করে।
কেমন লাগলো, আর কাজে লাগলো কিনা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আর, আরো আরো সিএসএস প্রোপার্টি যোগ করে নতুন নতুন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান, একটু opacity প্রয়োগ করে দেখুন… নতুন কিছু বের করতে পারলেও আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
মূলসূত্র:পোস্টটা লিখতে এর মূল তথ্য গ্রহণ করা হয়েছে একটি তৃতীয় পক্ষীয় টিউটোরিয়াল থেকে, যে লিংকটি বর্তমানে লভ্য নয়। তবে সেখানকার কোডগুলো ঝামেলা করে বলে তা সংশোধন ও পরিমার্জন করতে সহায়তা নেয়া হয়েছে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অমিত চৌধুরীর। কৃতজ্ঞতা তাই এঁদের প্রতি। মূল লেখাটি অনেক বছর আগে লেখা ছিলো, সেখানকার deprecated কোড সরিয়ে সাম্প্রতিক কোড যোগ করা হয়েছে।
⚠️ থামুন, জেনে নিন এটি একটি পুরোন কৌশল, তবে কার্যকরী। আপনার পক্ষে Certbot দিয়ে SSL Certificate ইস্যু করা সম্ভব হলে, সেটাই সহজতর পদ্ধতি। তবে এখানে Free SSL, Paid SSL ইত্যাদি বিভিন্ন ধারণা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা যে-কারো জন্যই কাজে লাগবে।
কিভাবে Let’s Encrypt ব্যবহার করে বিনে পয়সায় ওয়েবসাইটে এসএসএল সার্টিফিকেট ইস্যু এবং অ্যাক্টিভেট করা যায়, এবং HTTP ওয়েবসাইটকে HTTPS-এ বদলে ফেলা যায় তার ধারণা দেয়া হয়েছে।
মূল ইভেন্টটি টেকনোভিস্তা লিমিটেড-এ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই বক্তব্যই অডিও আকারে আলাদা করে রেকর্ড করা হয়েছে, যাতে বক্তব্যগুলো ছড়িয়ে দেয়া যায়।
অ্যাডমিন প্যানেলে একটা পাতায় (menu_page কিংবা submenu_page হতে পারে) একটা WP_Query() চালিয়ে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি। টেবিল আকারে তথ্যগুলো দেখিয়েছিও। এবং পেজিনেশনও করেছি। কিন্তু লক্ষ করলাম, পেজিনেশন কাজ করছে না। অনুসন্ধান করে দেখলাম Christine Cooper-ও একই সমস্যায় পড়েছিলেন এবং তিনি একটা সমাধানও বের করেছেন Milo’র পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে। সমাধানটা দারুণ, এবং আমার সমস্যারও সমাধান দিলো। কিন্তু আরো কিছু বিষয়ের দরকার হয়ে পড়েছিল, তাই আমি সেটাতে আরো কাজ করে আপনাদের জন্য হাজির করলাম একটু গোছানো একটা সমাধান হিসেবে। আপনারা এটাকে আরো গুছিয়ে নিতে পারেন নিজের মতো করে।
আসলে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে?
এই ব্যাপারটা আগে জানা দরকার। কপি-পেস্ট সবাই করতে পারে, কোড বুঝে নিয়ে তা ব্যবহার করাটাই প্রকৃত প্রোগ্রামারের কাজ হওয়া উচিত। যা জানা গেল, তা হলো,
Github.com আমাদেরকে সামাজিকভাবে কোডিং করার একটা ধারণা দেয়। এই সাইট ব্যবহার করে আমরা বন্ধু, সহকর্মী, গুরু এমনকি অজানা কারো সাথেও সামাজিকভাবে কোড করতে পারি। অধিকাংশ গিটহাব প্রোজেক্টই উন্মুক্ত সোর্সের, কারণ প্রোজেক্টগুলো প্রাথমিকভাবেই জনসমক্ষে উন্মুক্ত। তবে আপনি প্রাইভেট রেপোযিটোরিও তৈরি করতে পারেন, কিন্তু সেগুলো বিনামূল্য নয়। উন্মুক্ত কিংবা প্রাইভেট – যাই হোক, গিটহাবে তোলা অধিকাংশ গুছিয়ে নেয়া পণ্যও এর ডেভলপার কিংবা মালিক রিলিয করেন না। তাই আজকে আমরা দেখার চেষ্টা করবো, কিভাবে গিটহাব প্রোজেক্টকে রিলিয করতে হয়।
ধরা যাক, আপনার গিটহাব রেপোযিটোরিটাই আপনার প্রোজেক্ট। এবং আপনি এখন এর 1.0.0 সংস্করণের কাজ করছেন। আরো কয়েকজনও কমিট করছেন এই রেপোযিটোরিতে। এবারে আপনারা সবাই ঠিক করলেন এই প্রোজেক্টটির 1.0.0 সংস্করণটি রিলিয করবেন। তো এপর্যায়ে আপনারা আপনাদের কমিট করা শেষ করলেন এবং রিলিযের জন্য প্রস্তুতি নিলেন।
রিলিয দেয়ার গিট পদ্ধতি
git ব্যবহার করে প্রোডাক্ট রিলিয দেয়ার পদ্ধতি হচ্ছে git tag। কমান্ডলাইনে (git bash ব্যবহার করে) কাজটা করার উপায় হচ্ছে:
git tag -a v1.0.0 -m "First Release"
এতে যেটা হবে সর্বশেষ কমিটে v1.0.0 ট্যাগটি জুড়ে যাবে। এবারে কমান্ডলাইনে ট্যাগ পুশ করে দিলেই গিটহাবে একটা ট্যাগ তৈরি হয়ে যাবে।
git push -u origin --tags
কিন্তু এতে রিলিয নোট লেখা হবে না। তাই ট্যাগ তৈরি এবং রিলিয দেয়ার জন্য গিটহাব-এ রয়েছে রিলিয ফিচার:
ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা সচরাচর একক সাইট পরিচালনা করি, অর্থাৎ সেখানে একটা ইন্সটলেশনে একটাই সাইট চলে। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস তার একটা ইন্সটলেশনে একাধিক সাইট চালানোরও একটা সুযোগ দিয়ে রেখেছে, আর তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট। প্রথমদিকে ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট WordPress MU নামে কাজ শুরু করলেও তা পরবর্তিতে ওয়ার্ডপ্রেস কোর-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবং বলা যায়, সবচেয়ে বড় ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট ইন্সটলেশন হচ্ছে WordPress.com, যেখানে আপনি চাইলেই বিনামূল্যে একটা ব্লগ খুলে ফেলতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট তুলনামূলক কম জনপ্রিয় এবং এর রিসোর্সও কম পাওয়া যায়, কারণ এর ব্যবহারকারী কম। আবার, যেহেতু মাল্টিসাইটের আর্কিটেকচার ভিন্ন, তাই অনেক প্লাগইনই ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইটে চলে না। কিংবা হয়তো অধিকাংশ মানুষই এই ভিন্ন আর্কিটেকচারের সুযোগটা নিতে জানেন না। আপনার একাধিক ভাষায় ওয়েবসাইট দরকার, সাবডোমেইন কিংবা সাবফোল্ডার করে সেখানে একাধিক ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করেই আপনি কাজ সেরে ফেলছেন – এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে। কিন্তু যিনি এই সুবিধাটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, এবং চ্যালেঞ্জটা নিতে আগ্রহী, তিনি আসলে সুযোগটা নিতে চান, এবং তখনই ওয়ার্ডপ্রেসের মাল্টিসাইট বা একই ওয়ার্ডপ্রেসে একাধিক আলাদা সত্ত্বার সাইটের জন্ম হয়।
যাহোক, এবারে মূল কথায় আসা যাক-
মাল্টিসাইটের রেজিস্ট্রেশন পাতা
কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে মাল্টিসাইট ইন্সটল করা হলে খুব বিরক্তি উদ্রেক করে যে ব্যাপারটা, তা হলো এর ব্যবহারকারী রেজিস্ট্রেশন পাতাটা। সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেস সিঙ্গেল সাইটের রেজিস্ট্রেশন পাতাটা পাওয়া যায় এই ঠিকানায়:
https://example.com/wp-login.php?action=register
আপনি যদি একটা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন ফোল্ডার খুলে দেখেন, তাহলে রুট ফোল্ডারেই (অর্থাৎ যেখানে সাধারণত wp-config.php ফাইলটা থাকে) wp-login.php নামে একটা ফাইল দেখবেন, এটাই সেটা।
কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট এই পাতা থেকে রেজিস্ট্রেশন করে না। মাল্টিসাইট ইন্সটল করা হলে তখন রেজিস্ট্রেশন পাতা হয় এই ঠিকানায়:
https://example.com/wp-signup.php
যেখানে এইমাত্র wp-login.php ফাইলটা দেখেছেন, সেখানেই আপনি wp-signup.php ফাইলটাও পাবেন। যখনই আপনি “নিবন্ধন” (Register/ Sign up) লেখা কোনো লিংকে ক্লিক করবেন, ওয়ার্ডপ্রেস মাল্টিসাইট আপনাকে এই সাদামাটা পাতাটায় নিয়ে আসবে, যা অনেকেই পছন্দ করেন না।
এই পাতাটা অপছন্দ করার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এর মধ্যে কোনো স্টাইল করা থাকে না। আর দ্বিতীয়ত হলো, এই পাতায় যা যা ত্রুটি কিংবা সফলতার বার্তা দেখায়, সেগুলোকে ফিল্টার করে বদলে নেয়া যায় না। এজন্যই বিকল্প খোঁজা…
আজকে আমরা এই পাতাটিকে পাল্টে ফেলে নিজস্ব একটি সাইনআপ পাতা এর জায়গায় বসিয়ে দিতে হয় কিভাবে, তা-ই দেখবো। মনে রাখতে হবে, এজন্য আমরা যে কাজগুলো করছি না:
আমরা .htaccess ফাইলে কোনো হাত দিচ্ছি না,
আমরা আলাদা কোনো প্লাগইন ব্যবহার করছি না, এবং
অতি অবশ্যই আমরা ওয়ার্ডপ্রেসের কোনো কোর ফাইলে হাত দিচ্ছি না
গিট নিয়ে ভয়-ভীতি আমরা এবারে কাটিয়ে উঠেছি। এখন সময় এসেছে এর নতুন নতুন ফিচার জানার। তাই এই ধারাবাহিক আলোচনাকে “একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান” আর বলছি না, বরং গিট নিয়ে খেলাধুলা বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা এখনও গিট নিয়ে ভয়-ভীতি কিংবা দোটানার মধ্যে আছেন, এবারে তাদেরকে অনুরোধ করবো আমাদের পূর্বতন দুটো টিউটোরিয়াল দেখে নেয়ার জন্য, আগে (কথা দিচ্ছি এর চেয়ে সহজ করে কেউ বলবে না কখনও):
এবারে আমরা জানি গিট কাকে বলে, কত প্রকার, কী কী 🙂 । তাই আজকে আমরা আলোচনা করছি গিট ব্রাঞ্চিং নিয়ে।
অন্যান্য ভার্ষন নিয়ন্ত্রণ সফ্টওয়্যারের সাথে গিট-এর পার্থক্য করতে গেলে অনেককেই বলতে শুনি যে, গিটে ব্রাঞ্চিং যথেষ্ট cheap। এই cheap কথাটার মানে যেমন স্বল্প খরচসাপেক্ষ, তেমনি এর দ্বারা বোঝায় এটা যথেষ্ট সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলাহীনও। স্বস্তা, কারণ খুব অল্প রিসোর্স ব্যবহার করেই গিট ব্রাঞ্চিং করা যায় অগণিত।
কী এই গিট ব্রাঞ্চিং? ব্রাঞ্চ শব্দটা শুনলেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চের কথা মনে হয় না? ঠিকই আছে। ব্রাঞ্চিং সেরকমইতো। এবারে একটা ঘটনা দেখা যাক:
আমি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছি। আমার সাথে ২জন বন্ধু আছেন।
আমি মূল রাস্তা ধরে আরো এক মাইল এগোলাম, এবারে আমার সাথে আরো ২জন বন্ধু যোগ দিলেন। অর্থাৎ মোট বন্ধুর সংখ্যা ৪জন।
এবারে আমি রাস্তা বদল করলাম। ডানের গলিতে ঢুকে গেলাম। এই গলিতে আমি আরো ২জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম। মোট বন্ধু: [আগের] ৪জন + [নতুন] ২জন = ৬জন।
আরো এক মাইল এগোলাম, আরো ৪জন বন্ধু জুটিয়ে নিলাম, মোট বন্ধু হলেন ৬+৪=১০জন।
এমন সময় হঠাৎ, পথে আপনার সাথে দেখা। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এই রাস্তায় কেন? আপনার মূল রাস্তা কোথায়? আমি বললাম, সেটাতো ফেলে এসেছি। আপনি বললেন, বাহ, দারুণ! ১০জন বন্ধু নিয়ে পথ চলছেন! মূল রাস্তাতে আপনার কয় জন বন্ধু ছিলেন? বললাম, ৪জন। কেন, ১০জন নয় কেন? কারণ, বাকি ৬জন যে আমি ডানের গলিতে পেয়েছি।
হ্যা, ব্রাঞ্চিং-এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই ঘটে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মূল রাস্তা ধরে হাঁটছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত যা ঘটেছে, গলিপথে বা শাখা পথে ঢোকার সময় শাখা পথ কিন্তু ততটুকুর খবরই জানে। আর গলিপথে ঢুকে আপনি কতটুকু এগিয়েছেন, কী করেছেন, মূল পথ কিন্তু তার খবর জানে না।
স্বস্তাশ্রেণীর একটা উদাহরণ হয়ে গেল, তবু এটা বুঝলে ব্রাঞ্চিং-এর কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। …কথা না বাড়িয়ে এবারে হাত নোংরা করা যাক…
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট যারা পরিচালনা করেন, তাদের অনেকেই সাইটের গতি বৃদ্ধির নানান কৌশল জানতে চান। সত্যিকার অর্থে গতি বৃদ্ধির ব্যাপারটা অনেক কিছুর সাথে সম্পর্কযুক্ত, যেমন:
আপনি যে থিম ব্যবহার করছেন, তার কোডের মান কেমন?
আপনি যে প্লাগইনগুলো ব্যবহার করছেন, তার কোডের মান কেমন?
আপনি যে সার্ভারে সাইট হোস্ট করেছেন, তার মান/গতি কেমন?
কিংবা আপনি যে তথ্য আপনার সাইটে রাখছেন, তা কতটা অপটিমাইজ্ড, মানে প্রয়োজনানুগ গুছিয়ে রাখা?
কিংবা আপনার সাইটে যেসব থার্ড পার্টি রিসোর্স ব্যবহার করেছেন, সেগুলো কতটা গতিশীল?
…ইত্যাদি বহু কিছু। এসব বিষয়গুলো নিশ্চিত করার পরও অনেক সময় সাইটের গতি আশানুরূপ পাওয়া যায় না। আপনি যদি তখন Google-এর PageSpeed Insights, GTmetrix কিংবা Yahoo!’র YSlow ব্যবহার করে পরখ করে থাকেন, তাহলে দেখবেন, সেখানে আপনাকে বলা হচ্ছে, “Enable Compression” (কম্প্রেশন সক্রীয় করুন)।
এটা খায় না মাথায় দেয়
আপনি যখন একটা ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে এন্টার চাপেন, আপনি তখন আসলে সার্ভারকে বলেন, অমুক সাইটের তথ্যগুলো পাঠাও তো…। সার্ভার তখন সেই সাইটের তথ্যগুলো আপনাকে পাঠাতে থাকে। 10 মেগাবাইট ডাটা থাকলে, সে 10 মেগাবাইট ডাটা আপনাকে পাঠিয়ে দেয়, আপনি তখন সাইটটা দেখতে পারেন। যদি gZip Compression চালু করা থাকে, তাহলে যা ঘটবে: আপনি সার্ভারকে বলবেন, সাইটের ডাটা পাঠাও… সে তখন দেখবে সাইটে 10 মেগাবাইট ডাটা আছে, সে সেটাকে কম্প্রেস করবে, মানে যিপ করবে, মানে গুটিয়ে নিবে, এতে ডাটার আকার কমে আসবে মাত্র 3 মেগাবাইটে, অর্থাৎ সার্ভার তখন আপনার ব্রাউযারে পাঠাবে 10 মেগাবাইটের বদলে মাত্র 3 মেগাবাইট… কতটা দ্রুত হয়ে যাবে সাইট বুঝতেই পারছেন। বাকি কাজটা হবে এবার আপনার ব্রাউযারে… ব্রাউযার সেই কম্প্রেস করা ফাইলটা পেয়ে সেটাকে আনকম্প্রেস/ডিকম্প্রেস করবে, মানে আনযিপ করবে, পোটলা খুলবে, তারপর আপনাকে সাইটটা দেখিয়ে দিবে। …এভাবে gZip কম্প্রেশন আপনার সাইট পেজের আকার ৭০% পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
পত্রিকার ডিযাইনে কলাম দেখা যায়, ছবিগুলো অ্যালবামে কলাম আকারে সাজানো থাকে, আপনার পোর্টফোলিও কলাম আকারে গুছিয়ে দেখাতে পারেন – কলাম ডিযাইন তৈরি ঘুরেফিরেই আপনার প্রয়োজন হবে। এজন্যই এর আগে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে পিএইচপি লুপ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে কলামের ডিযাইন করা যায়। আমরা সেদিন বলেছিলাম, CSS3 দিয়েও কাজটা আরো সহজে করা যায়। এতোদিন পরে হলেও আমরা কথা রাখতে পেরেছি, আজ আমরা সেটাই দেখবো ইনশাল্লাহ।
সিএসএস৩ দিয়ে তৈরি কলাম আরো পরিচ্ছন্ন, আরো সহজ। এখানে স্তবকে স্তবকে সাজানো <div>-গুলোকে কোনো ক্লাস কিংবা সিলেক্টরের তোয়াক্কা না করে শ্রেফ সিএসএস দিয়ে ধরে ধরে কলাম আকারে সাজিয়ে ফেলা যাবে। এবং রেসপন্সিভ ডিযাইনেও একই কৌশল কাজে লাগিয়ে লেআউটকে বিভিন্ন ভিউপোর্টে ইচ্ছামতো বদলে নেয়া যাবে।
আসুন দেখা যাক, কিভাবে সেটা করা হয়। আমরা সহজ করার জন্য সবটুকু কাজ একটা ফাইলের মধ্যেই করে দেখাচ্ছি:
⚠️ লক্ষ করুন: অদ্য ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ওয়ার্ডপ্রেস ৪.৪.০ রিলিযের সাথে ওয়ার্ডপ্রেসের ট্যাক্সোনমি টার্মের মেটা ডাটা রাখার জন্য নতুন একটি টেবিল termmeta এবং প্রয়োজনীয় কোড সক্রীয় করা হয়েছে। সুতরাং টার্ম মেটা যোগ করা এখন আরো সহজ। আপনার দরকার add_term_meta(), update_term_meta(), get_term_meta() ইত্যাদি ফাংশন। তবে এপর্যন্ত টার্মে, মেটা বক্স যোগ করা হয়নি, তাই ফিল্ড যোগ করার ব্যাপারটি আপনি এই টিউটোরিয়াল থেকে দেখে সহায়তা নিতে পারেন। অবশ্য আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের ৪.৪.০-এর চেয়ে পুরোন সংস্করণ নিয়ে কাজ করে থাকেন, তাহলে এই টিউটোরিয়ালটি আপনার কাজে লাগবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ৪.৩ ছাড়পত্র পেয়েছে ১৯ আগস্ট ২০১৫, এবং এরই সাথে ট্যাক্সোনমিতে একটা নতুন দিগন্তও সূচিত হয়েছে। ট্যাক্সোনমি টার্মগুলো এখন যেকোনো ট্যাক্সোনমি থেকেই আসুক না কেন, তারা এখন একক^, অর্থাৎ একটার সাথে আরেকটা মিলবে না। কাজ শুরু করার আগে আসুন পরিষ্কার হয়ে নেয়া যাক, ট্যাক্সোনমি আর টার্ম দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে।
পরিচিতি
ওয়ার্ডপ্রেসে পূর্বনির্ধারিত ট্যাক্সোনমির মধ্যে বহুল পরিচিত হলো Categories, Tags ইত্যাদি। হ্যা, ঠিকই শুনছেন, ক্যাটাগরি, ট্যাগ – এগুলো আসলে একেকটা ট্যাক্সোনমি। এর মধ্যে Categories-এ পূর্বনির্ধারিত থাকে Uncategorized নামক একটা ক্যাটাগরি। আমরা যারা ক্যাটাগরি আর ট্যাগ ব্যবহার করতে অভ্যস্থ, আমরা জানি, ক্যাটাগরিতে একটার অধীনে (under) আরেকটাকে সেট করা যায়, কিন্তু ট্যাগ প্রতিটাই আলাদা আলাদা। এই যে, Categories এবং Tags, এরা হলো ট্যাক্সোনমি, আর Categories-এর ভিতরে ঐ যে Uncategorized, সেটা হলো ট্যাক্সোনমি টার্ম।
এই পূর্বনির্ধারিত ট্যাক্সোনমি আর টার্মের বাইরে ইচ্ছেমতো ট্যাক্সোনমি আর টার্ম তৈরি করা যায়। ধরা যাক, আমরা ছাত্রদের তথ্য নিয়ে কাজ করছি, এবং তাঁদের শ্রেণীর তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য একটা নিজস্ব ট্যাক্সোনমি (Custom Taxonomy) বানিয়ে নিলাম: Classes। এবারে এই ক্লাসেস ট্যাক্সোনমির ভিতরে আমরা ইনসার্ট করলাম I, II, III, IV, V ইত্যাদি শ্রেণীর নাম, অর্থাৎ রোমান সংখ্যায় আমরা শ্রেণীগুলোর নাম লিখেছি: ওয়ান, টু, …। …তাহলে Classes হলো আমাদের ট্যাক্সোনমি, আর I, II, III, … এগুলো হলো আমাদের টার্ম।
কেন দরকার?
আমরা যারা ওয়ার্ডপ্রেসের পোস্টে অতিরিক্ত তথ্য যোগ করতে চাই, আমরা জানি Post Meta’র গুরুত্ব সেখানে কতটা। পোস্ট মেটা দিয়ে হেন কাজ নেই যে, করা যায় না। আর যারা ডাটাবেয ঘাঁটতে জানি, তারা জানি যে, পোস্টের সাথের এই অতিরিক্ত তথ্য (Meta data) জমা রাখার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে একটা আলাদা টেবিলও আছে, নাম postmeta। এবং খুব সহজে সেখানকার তথ্য নিয়ে খেলার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটা সহজ ফাংশন: add_post_meta(), update_post_meta(), get_post_meta(), delete_post_meta() ইত্যাদি। এই ফাংশনগুলো ব্যবহার করে, ধরা যাক, আপনার প্রতিটা পোস্টকে আলাদা আলাদা রঙে রাঙাতে চাচ্ছেন, তো পোস্টের মেটা ডাটাতে একটা করে রঙের কোড পাঠিয়ে দিলেই কাজটা আপনার হয়ে যাচ্ছে। …পোস্ট মেটার ব্যবহার খুব সহজ। 🙂
এবারে ধরা যাক, আপনার স্কুলের ক্লাসগুলোর প্রত্যেকটাকে একটা করে ফুলের ছবি দিয়েও সূচিত করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসের ট্যাক্সোনমি ইনসার্শন প্যানেলে যে ফিল্ডগুলো আছে, তা দিয়ে তো ফুলের ছবি ইনসার্ট করা সম্ভব নয়। কারণ সেখানে আপনি টার্মের নামটা, স্লাগ (প্রীটি পার্মালিংকে ইউআরএল-এ যেটা দেখা যায়), শীর্ষ শিরোনাম (যদি এটা অন্য কোনোটার অধীনে সেট করার বিষয় থাকে), আর কিছু বিবরণ। কিন্তু রঙের কথা কোথায় যোগ করবেন?
তখনই মনে পড়ে পোস্টের অতিরিক্ত তথ্য যোগ করার পদ্ধতির – মেটা ডাটা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ট্যাক্সোনমিতে মেটা ডাটা যোগ করার কোনো ব্যবস্থা ওয়ার্ডপ্রেসে নেই। সেজন্য এর আলাদা কোনো টেবিলও নেই। কিন্তু এর যে দরকার আছে, সে নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে বহুদিন ধরে। ওয়ার্ডপ্রেস বহুল ব্যবহৃত একটা সিএমএস, পৃথিবীব্যাপী কোটি কোটি ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করছেন, তাই এতে হুট করে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। দরকার বহু আলোচনা, গবেষণা, এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যদি সবকিছু সন্তোষজনক হয়, তবেই সেটা প্রয়োগ করা হয়। তাই, এটা যে কবে হবে, বা আদৌ হবে কিনা, সেটা আমরা জানি না।
কিন্তু ততদিন কি আমরা বসে থাকবো? আমরা কি আমাদের প্রয়োজনগুলো পূরণ করবো না? আমাদের ক্লাসগুলোর সাথে ফুলের ছবি কি আমরা দিতে পারবো না?
অবশ্যই পারবো, ইনশাল্লাহ।
কিভাবে?
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরা কি পোস্ট মেটার মতো করে আলাদা একটি টেবিল বানিয়ে নিব ট্যাক্সোনমি মেটার জন্যও? সত্যি বলতে কি এ’নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। অনেকের মতেই ওয়ার্ডপ্রেস ডাটাবেয স্কেমাতে থাকাটা যৌক্তিক, নিরাপদ, এবং দ্রুত। তাই আমরা নতুন টেবিল তৈরি না করে কিভাবে সেটা করা সম্ভব, তা-ই এখানে দেখাবো।
অনেক তথ্য একসাথে, ডাটাবেযে ঢুকানো বা আপলোড করার (bulk upload) কাজটি অনেক ব্লগে, টিউটোরিয়ালেই আলোচনা করা হয়েছে। আমরা আসলে সেগুলো পড়েই কাজটা খুব সহজে করে ফেলতে পারি। কিন্তু সমস্যাটা সৃষ্টি হবে, যদি আপনি বাংলায় লেখা তথ্যগুলো ডাটাবেযে ঢুকাতে যান… তাছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটা কিভাবে কী হচ্ছে, তাও জানা থাকা দরকার। শেঁকড়টা পোক্ত থাকলে ডালপালায় দৌঁড়ানো খুব সহজ। আমরা তাই পুরো প্রক্রিয়াটি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করছি: