অনেক তথ্য একসাথে, ডাটাবেযে ঢুকানো বা আপলোড করার (bulk upload) কাজটি অনেক ব্লগে, টিউটোরিয়ালেই আলোচনা করা হয়েছে। আমরা আসলে সেগুলো পড়েই কাজটা খুব সহজে করে ফেলতে পারি। কিন্তু সমস্যাটা সৃষ্টি হবে, যদি আপনি বাংলায় লেখা তথ্যগুলো ডাটাবেযে ঢুকাতে যান… তাছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটা কিভাবে কী হচ্ছে, তাও জানা থাকা দরকার। শেঁকড়টা পোক্ত থাকলে ডালপালায় দৌঁড়ানো খুব সহজ। আমরা তাই পুরো প্রক্রিয়াটি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করছি:
Continue readingCategory: ন্যানো বেসিX
গিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান : পর্ব ২
গত পর্বে আমরা গিট সম্পর্কে অন্তর্নিহীত একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম, এবং এখন আমরা গিট কী তা শুধু জানিই না, বুঝিও; কিভাবে গিট কাজ করে তাও জানি, খানিকটা বুঝিও – আজকে তা পুরোপুরি বুঝে নিবো ইনশাল্লাহ। আমরা কম্পিউটারে গিট ইন্সটল করে ফেলেছি আর সেটাকে সম্পূর্ণ নিজের করে নিয়েছি। এবারে কাজ শুরু করে দেয়া যাক:
আমরা গত পর্বে বলেছিলাম মাত্র ৬টা কমান্ড দিয়ে শিখে নিব, গিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। …এখুনি হাত নোংরা করার দরকার নেই, একটু ভালো করে বুঝে নিতে হবে আগে। গিট রেপোযিটরি (কিংবা রেপোজিটোরি) কী? গিট কমিট কী (কমিটি নয় কিন্তু, কিংবা কম্মিট বলারও দরকার নেই)? স্টেজ করা কী? …বুঝে বুঝে এগোলে কনসেপ্ট পরিষ্কার হবে, নতুন কিছু গ্রহণ করাও সহজ হবে।
ধাপে ধাপে গিট
গিট রেপোযিটরি: ধরা যাক, আমার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, যেখানে দুটো ফাইল থাকবে: (১) index.html আর (২) style.css। ওযেবসাইটের নাম “mywebsite”। এখন কী করবো? … খুব সহজ, mywebsite নামের একটা ফোল্ডার তৈরি করে তার ভিতরে ফাইল দুটো রাখবো। তাহলে আমরা যদি বলি ঐ mywebsite ফোল্ডারটা হলো আমাদের প্রজেক্ট ফোল্ডার, ইউনিক্সের ভাষায় যাকে বলে ডিরেক্টরি, আর গিটের ভাষায় যাকে বলে রেপোযিটরি (repository)। ব্যস রেপোযিটরি বুঝে ফেললাম আমরা – রেপোযিটরি হলো আমাদের প্রজেক্টের সকল ফাইল একত্র করে রাখার একটা স্থান। তাহলে দেখা যাচ্ছে, একটা ফোল্ডার আর রেপোযিটরির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। …আসলে তা কিন্তু সত্যি নয় – পার্থক্য আছে।
Continue readingগিট ব্যবহারের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান : পর্ব ১
গিট (Git) হলো হাল আমলের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং জনপ্রিয় ভার্সন নিয়ন্ত্রণ সফ্টওয়্যার। …ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী – আমরা সেটা দেখবো। আমরা যেহেতু একেবারে প্রাথমিক আলোচনা করছি, তাই অনেক বিষয়ই জানা থাকলেও একটু না একটু আলোচনা করতেই হবে, ধারণা পরিষ্কার হবে, আমরা বিষয়টা বুঝবোও সহজে। মনে রাখতে হবে, এপৃথিবীর সবকিছুর মূলে রয়েছে কিছু কনসেপ্ট বা ধারণা। ধারণাটা বুঝে ফেললে বাকি সব পানিভাত। Git নামটা বুঝার আগে আমি GitHub নামটা শুনেছিলাম, এবং এই দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে পারতাম না প্রথম প্রথম। আপনাদের মনেও যদি এই প্রশ্নটা থাকে, তাও আমরা পরিষ্কার করবো ইনশাল্লাহ। তবে শর্ত হলো দুটো –
- যদি জানতে হয়, শিখতে হয়, পুরো লেখাটা দুই পর্বেরই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
- আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, খুব সহজে, সংক্ষেপে গিট বুঝাতে চলেছি, এবং আমার মতো মোটা মাথায় যদি ঢুকতে পারে, আপনাদের জন্য তো চিন্তারই কারণ নেই।
সংক্ষেপে বলো – সহজে বলো
গিট সম্পর্কে জানতে হলে কি আপনার এইসব ফিরিস্তি পড়তে হবে বসে বসে? …মোট্টেই না।
অনেকেই গিট শেখার ভিডিও আপলোড করেছেন, অনেক ওয়েবসাইট আছে বিনামূল্যে গিট শিখাবে হাতে ধরে ধরে, অনেক বই আছে গিট-এর উপর। যদি লম্বা কথা পড়ে পড়ে শেখার কোনো ইচ্ছা না থাকে, তাহলে সেগুলো তো দেখা যায়ই-
- গিট-এর উপর Scott Chacon-এর সম্পূর্ণ বই – Pro Git – বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন
- অনলাইনে বসে হাতে-কলমে গিট শিখুন – Try Git থেকে
- অ্যাটলাশিয়ান-এর গিট টিউটোরিয়াল
- গিট পরিচিতি – হাসিন হায়দার – shell ব্যবহার করে গিট ব্যবহারের উপর বাংলায় ভিডিও টিউটোরিয়াল
ভার্সন নিয়ন্ত্রণ কী
গিট বুঝতে গেলে একটু বুঝে নেয়া দরকার, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ বিষয়টা কী। সহজে বলতে গেলে নিচের টেক্সট ফাইলটি (Readme.txt
) দেখা যাক:
এই টেক্সট ফাইলটিকে আমরা একটা ছোট্ট উদাহরণ হিসেবে নিয়েছি। এখানে আপনারা ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন তিনটা আলাদা আলাদা সময়ের উল্লেখ আছে, যদিও তারিখটা একই আছে। তিনটা আলাদা সময়ে ফাইলটাতে তিনটা আলাদা পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম সময়ে (15:03:40) যে লেখাটা ছিল, পরের সময়েই (15:04:27) সেই লেখাটা প্রায় পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে (মানে বাদ দিয়ে, যোগ করা হয়েছে)। আবার তার পরের সময়ে (15:04:55) দ্বিতীয় লেখাটা না ছুঁয়ে তার সাথে নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এই তিনটা পরিবর্তনই কিন্তু একই ফাইলে হয়েছে, শুধু পার্থক্য হলো, এগুলো বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। এখন আমরা এই তিনটা সময়কে যদি এই ফাইলটার তিনটা আলাদা আলাদা অবস্থা ধরে নিই, তাহলে তা-ই কিন্তু ভার্সন (version)।
আমাদের ফাইলটি এখন খুললে আমরা কোন অবস্থায় পাবো, মানে কোন ভার্সনে পাবো? অবশ্যই সর্বশেষ ভার্সনে, মানে 15:04:55 সময়ে আপডেট করা ভার্সনটি। কিন্তু ধরা যাক, কোনো কারণে আমাদের প্রথম বাক্যটার (A readme file that is…) জায়গায় দরকার একেবারে প্রথমে যে বাক্যটা লিখেছিলাম, সেই বাক্যটা (মানে: This is a readme file বাক্যটা)। এখন তাহলে কোথায় পাবো সেটা? …কোত্থাও পাওয়া যাবে না, কারণ ফাইলটার পুরোন সেই লেখাটা এখন আর ফাইলে নেই – ঐ লেখাটা মুছেইতো সর্বশেষ অবস্থা পেলাম। …এজন্যই দরকার পড়ে ভার্সন কন্ট্রোল বা ভার্সন নিয়ন্ত্রণের, যেখানে আমাদের পুরোন কাজগুলো কখন কেমন ছিল, তার একটা রূপ আমরা পরেও দরকার পড়লে পাই। আবার এমনও হতে পারে, ফাইলের সব লেখা মুছে কেউ সব উল্টাপাল্টা করে ফেললো, তখন ফাইলের বিভিন্ন ভার্সন থাকলে আমরা পুরোন ভার্সনটাতে ফাইলটাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবো সহজে। এই কালানুগ কিংবা অবস্থানুগ পরিবর্তনের চিত্রটাই হলো ভার্সন, আর উপরে বর্ণিত কারণগুলোর জন্যই মূলত আমাদের ভার্সন নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়ে।
আমরা যারা কোড লিখি, ভার্সন নিয়ন্ত্রণ করাটা তাদের খুব কাজে লাগে। হয়তো তিন মাস আগের করা কোনো কাজ, যা পরে ফেলে দিয়েছিলাম, তা-ই আজকে অন্য এক জায়গায় কাজে লাগছে – তখন পুরোন ভার্সন থেকে আমরা সেটা পেয়ে যেতে পারি। আর, এখন এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমাদেরকে কখনও কখনও নিজের গন্ডির বাইরেও অন্য কোনো কোডারের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। তখন নিজেদের কাজগুলো এক জায়গায় রেখে দুজনের কাজকে বুঝে-শুনে একত্র করে করে এগিয়ে যাওয়ার একটা দারুণ উপায় হলো ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – বিশেষ করে ডিস্ট্রিবিউটেড ভার্সন নিয়ন্ত্রণ – যা গিট-এর মাধ্যমে আরো বেগবান হয়েছে। আবার একই অফিসে একাধিক ডেভলপার একই প্রজেক্টে মিলেমিশে কাজ করলেও গিটের তুলনা নেই, তখন একই কাজের পূণরাবৃত্তি রোধ করে যার যার অবস্থান থেকে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই।
ভার্সন নিয়ন্ত্রণের পুরোন পদ্ধতি ফেলে এখন যখন গিট
Continue readingবেসিX: ফটোশপের ওয়ার্কস্পেস
ফটোশপ basiX (প্রাথমিক জ্ঞান)
ভার্ষন: ফটোশপ ৭ (এবং সমমান)
এই টিউটোরিয়ালটা যখন লিখতে শুরু করি, তখন চিন্তা করছিলাম, এর কি আসলে কোনো দরকার আছে? কিন্তু লিখতে শুরু করে বুঝতে পারলাম, এর ঢের দরকার আছে। যাহোক, আজকের টিউটোরিয়াল হলো ফটোশপের ওয়ার্কস্পেস বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার একটা চেষ্টা মাত্র। এই টিউটোরিয়াল থেকে আমরা জানবো ফটোপশ চালু হলে কোন অংশকে কী বলে, আর কোন অংশটা কী জন্যইবা।
চিত্র ১ থেকে আমরা পুরো উইন্ডো’র একটা পরিচিতি পেয়ে যাবো। নিচে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেয়া হলো (এগুলোর বিস্তারিত আমরা ভবিষ্যতে জানবো, ইনশাল্লাহ):
টাইটেল বার: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এখানে দেখা যাবে পরিচিতিমূলক নাম বা টাইটেল। সবচেয়ে উপরের অংশটিতেই তা থাকে। যেহেতু আমাদের সফ্টওয়্যারের নাম ফটোশপ, তাই এখানে টাইটেল বারে লেখা Adobe Photoshop।
Continue reading